মর্মান্তিক ঘটনা! নয়ডার (Noida) ঘটনা ফিকে হওয়ার আগেই উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh) অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক নির্যাতিতা। পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সকলেই পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। আমরোহা জেলার নারাংপুর গ্রামে বিয়ে হয়েছিল পারুল নামের এই মহিলার। তিনি পেশায় একজন নার্স। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চলত । স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সকলে বলত একাধিকবার পণ চাওয়া হলেও কিছুই দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই সংসারে অশান্তি হত দম্পতির। পারুলের স্বামী কিছুদিন আগে রামপুর থেকে বরেলিতে বদলি হয়ে আসেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন বলেই খবর।
আরও পড়ুন-বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
নির্যাতিতার ভাই থানায় শ্বশুরবাড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে ছ’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে- পারুলের স্বামী দেবেন্দ্র, তাঁর মা এবং আরও চার আত্মীয়, সোনু, গজেশ, জিতেন্দ্র ও সন্তোষ। সকলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আমরোহা পুলিশের তরফে খবর, সব অভিযুক্ত এখন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা পারুলের মা’কে খবর দেন। তিনি জানিয়েছেন তিনি সেখানে পৌঁছে দেখেন মেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে এবং তাঁর সারা শরীর জ্বলছে। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে দিল্লিতে পাঠানো হয়। আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন নির্যাতিতা। প্রায় ১৩ বছর আগে পারুলের বিয়ে হয় দেবেন্দ্রর সঙ্গে। তাঁদের যমজ সন্তান রয়েছে, এক ছেলে এবং এক মেয়ে।
আরও পড়ুন-বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুর এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই গ্রেটার নয়ডায় ২৬ বছরের তরুণী নিক্কিকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী বিপিন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে নিক্কির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই একের পর এক পণের দাবি চলছিল। একটি স্করপিও গাড়ি, একটি মোটরবাইক এবং সোনার গয়না দেওয়ার পর আরও দাবি আসে। ৩৬ লক্ষ টাকা নগদ ও একটি বিলাসবহুল গাড়ি চেয়ে বসেন তারা। এরপরেই প্রতিহিংসার জেরে চুল ধরে মারধর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলার গায়ে।