প্রতিবেদন : ২৮-এর সমাবেশে ২০২৬-এর দিকনির্দেশিকা! তাই-ই তো। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসে পথনির্দেশ করবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্ষরিক অর্থেই আজ ২৮শের ছাত্র সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে। দেশের ছাত্র সমাবেশের ইতিহাসে এতবড় মাপের জনসভা এর আগে হয়নি। দেশের কোনও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এই জনসমাবেশ করতে পারেনি আর আগামী দিনেও পারবে না। রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বললেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। বুধবার বিকেলে যখন একথা বলছেন তখনও মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিশাল মঞ্চের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতির কাজ চলছে। রাজ্য সভাপতি কখনও সংগঠনের ছেলেমেয়েদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আবার কখনও পুলিশ-প্রশাসন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত। কারণ, আজ এই ছাত্র সমাবেশের প্রধান বক্তা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তার দিকটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ— সারা রাজ্য থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হচ্ছেন এই মেগা সমাবেশে। ২০২৬-এর মেগা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সমাবেশমঞ্চ থেকেই ছাত্র সমাজকে দিকনির্দেশিকা দেবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রতিককালে বিজেপির ভাষাসন্ত্রাস, বাঙালিবিদ্বেষ, এসআইআর-সহ একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগবেন মুখ্যমন্ত্রী। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও তাঁর পুরো টিম দিনরাত এক করে প্রস্তুতি সেরেছেন। আজও দিনভর ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরের নানা জায়গায়, যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে রয়েছেন। আজও বিভিন্ন জেলা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসবেন শিয়ালদহ-হাওড়া স্টেশনে। বুধবার ভোর থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, আলোক দাস-সহ টিএমসিপি নেতৃত্ব।