তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা (TMCP) দিবসের ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে ছাত্রনেতা আতাউল হক বলেন, শুধু কলেজ গেটে ছাত্র আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না, ছড়িয়ে যেতে হবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। কারণ এই লড়াই ভাষা আন্দোলনের লড়াই। বাংলা ভাষা – বাংলা সংস্কৃতিকে যারা অপমান করছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
আরও পড়ুন-আর জি কর কাণ্ডের একবছর পরেও সিবিআই কিচ্ছু করতে পারেনি: অপরাজিত বিলের সমর্থনে গর্জে উঠলেন অভিষেক
এদিন বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা করার গুরু দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি বিপ্লবীদের ছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের পরাজিত করা সম্ভব ছিল না। বাংলার বীর সন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ছাড়া বিপ্লবীরা উজ্জীবিত হতে পারতেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ‘বন্দেমাতরম’ থেকে ‘জনগণমন অধিনায়ক’ যে বাংলা থেকে সৃষ্ট, সেই ভূমিকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে তাতে এটাই স্পষ্ট যে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভয় পেয়েছেন। বুঝে গেছেন বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলে গোটা ভারতবর্ষে বিজেপির অবস্থা টালমাটাল হতে পারে। যেভাবে দেশ বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছেন মোদি, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই এত চক্রান্ত- কুৎসা-অপমান -বঞ্চনা করে পশ্চিমবঙ্গকে আটকানোর চেষ্টা চলছে। আতাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন এনআরসি, কৃষক আইন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো যাবে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে SIR করে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে চাইছেন মোদি। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন যে এই বাংলার মাটি থেকে ১৯৯৩ সালে সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন মমতা যা দেশের মানুষকে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। এবার প্রয়োজনে আরও একবার দিল্লির বুকে বাংলা ছাত্ররা আন্দোলন গড়ে তুলবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাকে বাঁচাতে নিজেদের রক্ত দিতেও তাঁরা দুবার ভাববে না। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার অনুরোধও করেন তিনি।