নুরুল ইসলামের পরিবার-সহ খাদ্য আন্দোলনের সকল শহিদের প্রতি আজ তাঁদের প্রয়াণ-দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, “খাদ্যের অধিকার মানুষের চিরন্তন অধিকার। আমাদের বিরোধীরা এই অধিকারকে সম্মান দেয় না বলে আমার খারাপ-লাগা আছে। বামপন্থীরা এক সময় খাদ্য আন্দোলনের ভান করেছিল, কিন্তু সরকারে থাকাকালীন মানুষকে অনাহারে মেরেছে: আমলাশোলের মতো ঘটনার কথা আমরা ভুলিনি। আর, বিজেপি তো ভাষায়-ও মারে, ভাতেও মারে। সব টাকা দিল্লিতে আটকে তারা বাংলার মানুষকে উপোস করিয়ে শেষ করতে চায়।
খাদ্যের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে আমাদের সরকার এ রাজ্যের মানুষের খাদ্য সুরক্ষার জন্য যা করেছে, তা আজ সারা দেশের মডেল।
আমরাই চালু করেছি ‘খাদ্যসাথী’র মতো যুগান্তকারী প্রকল্প, যার আওতায় রাজ্যের ৮ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ আজ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। এর জন্য আমরা খরচ করেছি ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে, গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৭ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ বাড়ির দোরগোড়ায় খাদ্যশস্য গ্রহণ করছেন। বাকি উপভোক্তারা তাঁদের সুবিধা ও পছন্দ অনুযায়ী রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্য গ্রহণ করছেন। এই বাবদ আমরা খরচ করেছি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এছাড়াও, “মা” প্রকল্পে গরীব মানুষদের দুপুরের খাবার মাত্র ৫ টাকায় দেওয়া হচ্ছে ।
শুধু তাই নয়, খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য চালের জোগান করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বছর রেকর্ড ৫৬.৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে, যা ১৭ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উপকৃত করেছে।
এটা আমার গর্ব, আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টার ফলে আমাদের সরকার ২ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সোজা কথায়, আজকের বাংলায়, সব মানুষের পূর্ণ খাদ্য সুরক্ষা আছে। সব গরীব মানুষ বিনা পয়সায় বা খুব সস্তায় এই রাজ্যে খাবার পান।
কবি ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’-এর অমর কথা স্মরণ করে
আজ বাংলার সকল নাগরিক বলতে পারেন, তাঁদের সন্তানরা ‘দুধে – ভাতে’ থাকেন, অন্নাভাব ঘুচেছে।”