পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (Bidhansabha) নিরাপত্তা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক দেহরক্ষী নিয়ে আর বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না। বিধানসভা চত্বরের বাইরে দেহরক্ষীদের রেখে তবেই প্রবেশ করতে হবে। এই মর্মে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, কারণ তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও অস্ত্র নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন না। তিনি আরও জানান, লোকসভা এবং দেশের অন্যান্য বিধানসভাতেও একই রকম নিয়ম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন-ব্যর্থ প্রশাসন! মধ্যপ্রদেশে গ্রামে কুমিরের উদ্ধারকাজে আহত ২
বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের মামলার প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছিল, তৃণমূল বিধায়কেরা রাজ্য পুলিশের দেহরক্ষী নিয়ে ঢুকতে পারলে বিজেপি বিধায়কেরা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। হাইকোর্টের প্রশ্নের পরেই অধ্যক্ষ স্পষ্ট করে দেন, কোনও বিধায়কই দেহরক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-পুলিশ দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তৃণমূল বিধায়কেরা সাধারণত রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পান, আর বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখন থেকে বিধানসভা অধিবেশনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা শুধু বিধানসভা চত্বরের বাইরে থাকবেন। সেখানে অস্থায়ী বিশ্রামশিবিরের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এদিন থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার তিন দিনের বিশেষ সংক্ষিপ্ত অধিবেশন। প্রথম দিন প্রথা মেনে সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে শোক প্রস্তাব পাঠ করার পর সভা মুলতুবি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ। তার আগে সর্বদল বৈঠক ও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বা প্রধান বিরোধী দলের কোনও সদস্য তাতে যোগ দেননি। মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার চলবে অধিবেশন।