স্ত্রীর গায়ের রং নিয়ে অসন্তোষ, পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী লক্ষ্মীকে গায়ের রঙের জন্য তাঁর স্বামী কৃষ্ণলাল নিয়মিত কালো বলে অপমান করতেন।

Must read

রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুরের বল্লভনগরে তথাকথিত ‘সুন্দরী’ বা গায়ের রং ফর্সা না হওয়ার ‘অপরাধে’ ২০১৭ সালে স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করেছিলেন স্বামী। ২০১৭ সালের ২৪ জুনের ওই ঘটনায় অবশেষে আট বছর পর দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল নিম্ন আদালত। স্ত্রীকে ‘কালো’ বলে প্রায় প্রতিদিন খোঁটা দিত তাঁর স্বামী।এখানেই শেষ নয়, কেমিক্যাল মাখিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করেছিলেন তিনি। গত শনিবার উদয়পুরের মাভলির নিম্ন আদালত স্বামী কৃষ্ণলালকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিচারক এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন কোন সভ্য সমাজে এই ধরনের অপরাধের কথা মাথায় আনা যায় না। দোষী শুধু নিজের স্ত্রী লক্ষ্মীর প্রতি অন্যায় করেন নি, গোটা সমাজের প্রতি জঘন্য অপরাধ করেছে।

আরও পড়ুন- ”সেনার অপব্যবহার করল বিজেপি, বিজেপি দেশের লজ্জা”: মেয়ো রোডে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী লক্ষ্মীকে গায়ের রঙের জন্য তাঁর স্বামী কৃষ্ণলাল নিয়মিত কালো বলে অপমান করতেন। ২০১৭ সালে ২৪ জুন হঠাৎ মাঝরাতে কৃষ্ণলাল স্ত্রী লক্ষ্মীকে গোটা শরীরে একটি কেমিক্যাল মাখতে বলেছিলেন। গায়ের রং এতে ফর্সা হয়ে যাবে সেটাও বলেন। লক্ষ্মী সেটা মাখলে একটি ধূপকাঠি দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মেরেছিলেন তিনি। এরপরেই স্ত্রী যন্ত্রণায় কাতর হয়ে সাহায্য চাইলে সেখানে থেকে পালিয়ে যান কৃষ্ণলাল। লক্ষ্মীর শ্বশুর এবং শাশুড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই কয়েকদিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। লক্ষ্মীর বাপের বাড়ির লোকজন উদয়পুরের বল্লভগর পুলিশ স্টেশনে কৃষ্ণলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। কিছুদিন পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় শনিবার উদয়পুর জেলার বল্লভনগরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। কিষাণদাসকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক রাহুল চৌধুরি।

Latest article