বেঙ্গালুরুতে মাঝরাস্তায় লিভ-ইন-পার্টনারকে পুড়িয়ে মারল ক্যাবচালক

তিন বার বিয়ে করেছিলেন পুরুষ সঙ্গী আর মহিলা দু’বার। এরপরে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়েছিল এবং বছর চারেক আগে লিভ ইন করা শুরু করেছিলেন তাঁরা।

Must read

তিন বার বিয়ে করেছিলেন পুরুষ সঙ্গী আর মহিলা দু’বার। এরপরে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়েছিল এবং বছর চারেক আগে লিভ ইন করা শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছুদিন হল তাঁদের সম্পর্কেও ফাটল ধরে আর সেখানেই জায়গা করে নেন আরও এক পুরুষ। সম্পর্কের এই জটিলতার পরিণতির হল ভয়ানক। ৩৫ বছরের ওই মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করলেন তাঁর লিভ ইন পার্টনার। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ভিতাল। বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)তিনি ক্যাবচালক হিসেবে কাজ করেন। প্রায় চার বছর আগে বনযক্ষী নামে এক মহিলার সঙ্গে লিভ ইন করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ভিতালের নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে। রোজ রাতে মদ্যপান করে তিনি বনযক্ষীর ওপর রীতিমত অত্যাচার করতেন বলে খবর।

আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে তরুণীর দেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যুবকের

কিছুদিন আগে মারিয়াপ্পা নামে তাঁর এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মারিয়াপ্পা কর্নাটকের রাজনৈতিক সংগঠন ‘কর্নাটক রক্ষা বেদিকে’-র সদস্য বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’তে মারিয়াপ্পার সঙ্গে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেখান থেকে ফেরার সময়ে তাঁদের গাড়ি ধাওয়া করা শুরু করেছিল ভিতাল। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়ালে সেই সময়ে ভিতাল এগিয়ে এসে গাড়িটির ভিতরে পেট্রল ঢেলে দেয়। বনযক্ষী, মারিয়াপ্পা এবং গাড়িটির চালক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। বাকিরা পালাতে পেরেছিলেন তবে বনযক্ষীকে তাড়া করে ধরে ফেলে ভিতাল তাঁর গায়ে আরও পেট্রল ঢেলে দেন। এরপর একটি লাইটার দিয়ে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

আরও পড়ুন-স্ত্রীর গায়ের রং নিয়ে অসন্তোষ, পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বনযক্ষীকে এই অবস্থায় দেখে এক পথচারী একটি কাপড় চাপা দিয়ে বনযক্ষীর গায়ের আগুন নেভান। আরও কয়েকজনের সহায়তায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বনযক্ষীর শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তিও অল্প দগ্ধ হয়েছেন। আগুনে পুড়ে আহত হয়েছিলেন ভিতালও। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইলেকট্রনিক সিটি ডিভিশন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নারায়ণ এম বলেছেন, মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। বাঁচানোর সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

Latest article