প্রতিবেদন : ৭ দিনের লুকোচুরির পর অবশেষে গ্রেফতার দেশরাজ সিং! কৃষ্ণনগরে কলেজ ছাত্রী ঈশিতা মল্লিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার নৌটনওয়া থেকে রবিবার রাতে মূল অভিযুক্ত দেশরাজকে গ্রেফতার করল কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী নৌটনওয়া থেকে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দেশরাজের।
আরও পড়ুন-আরামবাগ, ঘাটালের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
গ্রেফতারির পর্যায়ক্রম নিয়ে সোমবার সকালে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানান, সাতমাস আগেই দেশরাজ ও ঈশিতার সম্পর্ক ভেঙে যায়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ঈশিতা ও তার পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করে দেশরাজ। গত সোমবার খুনের পর সে প্রথমে টোটোয় কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে ট্রেনে করে নৈহাটি হয়ে হাওড়া স্টেশন এবং হাওড়া থেকে দুন এক্সপ্রেসে অযোধ্যায় পৌঁছয়। অযোধ্যা থেকে মহারাজগঞ্জ জেলার নৌটনওয়া পৌঁছে দেশরাজ ভারত-নেপাল বর্ডার অতিক্রম করে নেপালে পালানোর চেষ্টায় ছিল। কিন্তু তার আগেই দেশরাজকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের স্পেশাল টিম। পাশাপাশি, দেশরাজের বাবার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া গ্রামে পৌঁছে কৃষ্ণনগর পুলিশের টিম কিছু সূত্র পায়। সেই সূত্র ধরে শনিবার গুজরাতের জামনগর থেকে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে গ্রেফতার করা হয়। ভাগ্নেকে বাঁচাতে এই কুলদীপই সমস্ত ব্যবস্থা করে। কুলদীপের বানানো জাল আধার কার্ড ও অন্যান্য জাল সরকারি নথিপত্র দেখিয়েই দেশরাজ বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিবাস করে এবং ট্রেনের টিকিট কাটে। এদিন ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃত দেশরাজকে রাজ্যে এনে কৃষ্ণনগরের জেলা আদালতে পেশ করে সর্বাধিক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।