৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে ‘কালো দুর্গা’র পূজো

Must read

সুনীতা সিং, বর্ধমান: বংশ পরম্পরায় প্রায় ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে ‘কালো দুর্গা’র পুজো (durga puja)। পরিবারের লোকজন বলেন ‘ভদ্রকালীরূপী দুর্গা’ (durga puja)। বর্ধমানের ৫ নং ইছলাবাদ সাউথ ব্লক এলাকার বাসিন্দা জয়ানন্দ তীর্থনাথ ওরফে জয়ন্ত ভট্টাচার্যের বাড়িতে এই কালোদুর্গা পুজোর প্রচলন শুরু হয়েছে বহু আগে। জয়ন্ত জানিয়েছেন, বর্তমান বাংলাদেশের স্থল-এর পাকড়াশী বংশের পূর্বপুরুষ হরিদেব ভট্টাচার্য প্রথম এই পুজো শুরু করেন প্রায় আটপুরুষ আগে। হরিদেব ভট্টাচার্য স্বপ্নাদেশ পান দেবীকে এই ভদ্রকালীরূপী দুর্গা রূপেই পুজো করার জন্য। সেই থেকে শুরু। জয়ন্ত জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিশেষ তন্ত্রমতে এই পুজো হয়। ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু। প্রতিদিনই মায়ের ভোগে থাকে আড়মাছ, বোয়ালমাছ, কাতলা, পাবদা প্রভৃতি। নবমীর দিন দেওয়া হয় ইলিশ। সন্ধিতে ভদ্রকালী দুর্গারূপীনি চামুণ্ডার পুজো হয়। দশমীর দিন দেওয়া হয় পান্তা ভাত, লেবু, কাঁচা লংকা, টক দই, ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক, ৫ রকম ভাজা সহ দুরকম তরকারী। সপ্তমীর দিন খিচুরি ভোগ এবং অষ্টমীতে পোলাও সহ নিরামিষ ভোগ। নবমীতে ফ্রায়েড রাইস, দুরকম মাছ ছাড়াও পাঁঠা বলি হয়। সপ্তমী, সন্ধি পুজো এবং নবমীতে তিনদিন পাঁঠা বলি হয়। ভোগে থাকে চাটনী, পায়েস, লুচি, নারকেল নাড়ু প্রভৃতি। বর্ধমানে মূর্তি গড়েন দীনবন্ধু পাল। একচালের দুর্গাপ্রতিমা চতুর্ভূজা ভদ্রকালী, দয়াময়ী মূর্তি। জয়ন্ত জানিয়েছেন, তাঁদের এই প্রতিমায় বিশেষত্ব হল কার্তিক ও গণেশ অন্যান্য মূর্তির মত থাকে না। এখানে তাঁরা বিপরীতে থাকেন। দেবীর বামদিকে থাকেন গণেশ এবং ডানদিকে থাকেন কার্তিক। জয়ন্তবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির এই পুজোয় তাঁর স্ত্রী মাধবী ভট্টাচার্য, মেয়ে শ্রেয়া ভট্টাচার্য ছাড়াও থাকেন ভক্ত ও শিষ্যরাও। পঞ্চমীতে গুরুপুজো দিয়ে শুরু হয়। প্রত্যেকদিন চণ্ডীপাঠ হয়

আরও পড়ুন-দরিদ্রশ্রেণির শিশুদের জন্য স্কুল গড়ছে রামকৃষ্ণ মিশন

Latest article