প্রতিবেদন: ফের অশান্তির অশনি সঙ্কেত মণিপুরে (Manipur)। রবিবার থেকেই পারদ চড়ছে উত্তেজনার। শান্তি বৈঠকে যোগ দিয়ে হিংসার বিরুদ্ধে সওয়াল করলেও সেই হিংসারই বলি হলেন থাডু জনজাতি গোষ্ঠীর নেতা নেহকাম জোমহাও। অসমের সীমান্তবর্তী কার্বি আংলং জেলায় তাঁর বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে নেহকামকে খুন করল একদল আততায়ী। অভিযোগের আঙুল কুকিদের দিকেই। পুলিশ এই ঘটনায় যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা সকলেই একসময় কুকি রেভলিউশনারি আর্মির সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে অসম-মণিপুর (Manipur) সীমান্ত লাগোয়া এলাকাতেই তাঁকে খুন করা হয় নৃশংসভাবে। লক্ষণীয় কুকি এবং থাডু, এই ২ জনজাতির বেশিরভাগ মানুষই মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুটি জনজাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও বেশ নিবিড়। শুধু তাই নয়, কুকি-মেইতেই সংঘর্ষের জেরে থাডু জনজাতির মানুষও মেইতেইদের হামলার শিকার হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। তবুও কুকিদের হাতেই কেন মরতে হল এই থাডু নেতাকে?
স্থানীয় মানুষের মতে, থাডু সাহিত্য সমিতির সভাপতি ৫৯ বছরের জোমহাও মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গত ১৬ অগাস্ট থাডুদের দু’টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন ইম্ফলের শান্তি বৈঠকে। এতেই জোমহাওর উপর প্রবল চটে যায় কুকি গোষ্ঠী। ক্ষুব্ধ হয় থাডুদের একটি গোষ্ঠীও। জোমহাও হত্যাকাণ্ড তারই পরিণতি বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
ফের অশান্তি মণিপুরে খুন থাডু জনজাতির নেতা
