প্রতিবেদন : ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে দলীয় সতীর্থদের মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা, বিজেপি কীভাবে বাংলাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে সে-কথা মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বলুন। খুলে দিন ওদের মুখোশ। সোমবারও তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে জোড়া বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। এদিন প্রথম আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে এবং দ্বিতীয় দফায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়। দুই জেলার নেতৃত্বকে আরও বেশি করে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান-সহ যাবতীয় সরকারি প্রকল্পের প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তিনি আলাদা করে বলেছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উদ্যোগ নিয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের। সে-কথা প্রচারে তুলে ধরতে হবে। এসআইআর এবং বিজেপির ভাষাসন্ত্রাস নিয়ে আরও জোরদারভাবে প্রতিবাদে শামিল হতে হবে। ভোটার তালিকা ভাল করে ঝালিয়ে নিতে হবে। একসঙ্গে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে মেটাতে হবে। উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও সাজেশন থাকলে তা দলকে জানান। দলের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। সর্বোপরি সংগঠনিক জেলার সাতটি বিধানসভাতেই দলকে জেতাতে হবে। এই টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee)।
টাউন ও ব্লক সভাপতি পরিবর্তন-পরিমার্জনের বিষয়েও সাজেশন চাওয়া হয়েছে দুটি বৈঠকেই। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ৭ বিধায়ক, আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি, জেলার তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী, যুব সভাপতি এই বৈঠকে ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে আরামবাগ সাংগঠনিক তৃণমূলের থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মিতালি বাগ, সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়, যুব সভাপতি পলাশ রায়, মহিলা সভানেত্রী করবী মান্না।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, বৈঠকে বলা হয়েছে, আগামী দিনে আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য যে যে উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন সেগুলো বেশি করে আরও মানুষের কাছে জানানো। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান যে কর্মসূচি আমাদের চলছে সেটাকে আরও বেশি জোর দিয়ে মানুষের সমস্যার কথা জেনে সেগুলো সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যেভাবে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেই নিয়ে আগামী দিনে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
প্রত্যেক এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বকে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছাতে হবে।
অভিষেকের নির্দেশ, আগামী দিনে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে সকলকে একসঙ্গে থেকে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনে যদি সংগঠনের কোনও রদবদল শীর্ষ নেতৃত্ব করে সেটা সবাইকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও পুরশুড়া, আরামবাগ, খানাকুল অঞ্চলে আরও বেশি নজর দিতে হবে। এছাড়াও আজকের বৈঠকে মূলত মানুষের কাজকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর মানুষের কাছে বেশি করে গিয়ে সমস্ত কাজের কথা তুলে ধরতে হবে। আর সামনেই বিধানসভা ভোট। আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য, এই কেন্দ্রে যে ৬টি বিধানসভা রয়েছে, তার সবক’টিতেই জিততে হবে।
আরও পড়ুন-তাঁর ছবির প্রচারে নেই আবির, ক্ষুব্ধ প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান