হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দুর্গা পুজো। তার মধ্যেই রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত। পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার রাতে আকাশে তৈরি হয়েছিল শক্তিশালী স্কোয়াল ফ্রন্ট। এর জেরে গতকাল সারারাত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। কী এই স্কোয়াল ফ্রন্ট (squall front)? কেন হয়? জেরে কী হতে পারে? রইল বিস্তারিত।
কী এই স্কোয়াল ফ্রন্ট?
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, স্কোয়াল ফ্রন্ট (squall front) আকস্মিক আবহাওয়াগত প্রাচীর বা সীমারেখা, যা শক্তিশালী ‘বাতাসের সংঘর্ষরেখা’। উষ্ণ আর্দ্র বাতাস ও শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তৈরি হয় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া৷ উল্টানো ‘L’ আকারের এই ঝোড়ো হাওয়ার সামনের অংশটিকে বলা হয় স্কোয়াল ফ্রন্ট । দুই ধরনের বাতাসের সংঘর্ষে তৈরি হয় দানবীয় কিউমুলোনিম্বাস মেঘ। এর জেরে বজ্রপাত, প্রবল বৃষ্টি৷ হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
আরও পড়ুন-২টি পাসপোর্ট, ৩ বার পাকিস্তান যাত্রা! ইউটিউবারের বিরুদ্ধে চার্জশিটে হাড়হিম করা গোপন তথ্য
স্কোয়াল ফ্রন্ট কি বিপজ্জনক?
ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি, মেঘভাঙা বৃষ্টি, এছাড়াও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। নিমেষের মধ্যে সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে৷ আবহাওয়াবিদদের মতে, অল্প সময়েই তৈরি হয় স্কোয়াল ফ্রন্ট। হঠাৎই চারপাশে অন্ধকার নেমে আসে। বজ্রপাত-প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের পরিমাণ এবং ঘনত্ব বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়।
সতর্কতা:-
* বজ্রপাতের সময় বাইরে বেরোবেন না
* খোলা জায়গা, বিদ্যুতের পোস্টের নীচে, ফাঁকা কৃষিজমিতে সেসময় কাজ নয়
* দামিনী অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও একটি এলাকায় পরবর্তী ২ ঘণ্টায় সম্ভাব্য বজ্রপাতের আগাম অ্যালার্ট সম্পর্কে সজাগ থাকুন
* বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নয়