প্রতিবেদন: ওমিক্রন সংক্রমণের প্রেক্ষিতে আগামী একমাস বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কি না তা দেখতে জেলায় জেলায় কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়ানোর জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেভাবে কোভিডবিধি মেনে চলার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-লোকায়ুক্ত গঠনে কাল বৈঠক
আগামী মাসের গোড়া থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’। সেই শিবিরগুলিতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব সম্প্রতি বিভিন্ন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি হাসপাতালে কোভিড বেড বাড়াতে, রাস্তাঘাটে মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মাস্ক না পরলেই আগের মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড টেস্ট, ট্রেসিং বাড়াতে হবে। আক্রান্তরা কতজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা কনট্যাক্ট ট্রেসিং করলেই জানা যাবে। প্রয়োজন পড়লে এলাকা চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন তৈরি করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন-লোকায়ুক্ত গঠনে কাল বৈঠক
কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আগেই বলেছিল, বিদেশফেরত কোভিড পজিটিভদের জন্য ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। আইসোলেশনে থাকার সময় গাইডলাইন মাফিক নিয়ম মানতে হবে। কোভিড ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, সময় অতিক্রম হওয়ার পরেও যাঁরা সেকেন্ড ডোজ নেননি বা পাননি, তাঁদের দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেক্ষেত্রে কতজন বাকি পড়ছে, কারা সেকেন্ড ডোজ নিচ্ছেন না তার একটা তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিব বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না যাঁরা, তাঁদের কী ভাবে দেওয়া যায় তার একটা পরিকল্পনা করা দরকার। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ নিতে পারেন। এর ফলে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত গতিতে হবে।
আক্রান্ত হলেন ডাক্তারি পড়ুয়া
আরও পড়ুন-ফের হাইকোর্টে জয় রাজ্য সরকারের, দুয়ারে রেশন প্রকল্প স্থগিতের আর্জি খারিজ হল হাইকোর্টে
রাজ্যে আরও এক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল৷ এবার ওমিক্রনের খোঁজ মিলল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসকের শরীরে৷ খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল গোটা রাজ্যে। ওই চিকিৎসক আপাতত বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি। ওই ইনটার্ন কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বেশি অবাক। কারণ, ওই তরুণ চিকিৎসকের বিদেশ যাত্রার কোনও রেকর্ড নেই৷ ফলে বিদেশফেরত কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেই তিনি সংক্রামিত।