ট্রাম্প-মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক শেষ, বিস্ফোরক মন্তব্য বোল্টনের

বোল্টনের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ট্রাম্পের প্রথমবারের মেয়াদে তিনিই ছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

Must read

প্রতিবেদন: প্রাক্তন বসের বিরুদ্ধে তির ছুঁড়লেন মার্কিন প্রশাসনের প্রাক্তন শীর্ষকর্তা। আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখন বিলীন হয়ে গেছে। বোল্টনের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ট্রাম্পের প্রথমবারের মেয়াদে তিনিই ছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
ভারতের ওপর ট্রাম্পের চড়া শুল্ক আরোপের কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য- উত্তেজনার মধ্যে বোল্টনের এই মন্তব্যটি সামনে এল। এতে স্পষ্ট, ট্রাম্পের নিজের দল এবং মার্কিন প্রশাসনের অন্দরেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যকলাপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এলবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক আগে খুবই ভাল ছিল। আমি মনে করি সেই সম্পর্ক এখন আর নেই, এবং এটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা। তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখা দরকার, একটি ভাল ব্যক্তিগত সম্পর্ক হয়তো মাঝে মাঝে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এটি কাউকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে না। ট্রাম্পের প্রাক্তন উপদেষ্টা জন বোল্টন এখন নানা ইস্যুতে তাঁর কড়া সমালোচক। বোল্টনের বক্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত সম্পর্কের সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের বৈদেশিক নীতি দেখেন। এতে বৈদেশিক নীতি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বোল্টন বলেন, আমি মনে করি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের আয়না দিয়ে দেখেন। সুতরাং, যদি পুতিনের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সম্পর্ক ভাল। অন্যথায় নয়। কিন্তু এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের ক্ষতি। পাশাপাশি এটি আদৌ বাস্তবোচিত নয়।

আরও পড়ুন-গ্রামীণ এলাকায় ২১০টি ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ভ্যান

বোল্টনের এই সতর্কবার্তা থেকে এখন এটা স্পষ্ট যে, মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যেকার ‍‘ব্রোম্যান্স’, যা একসময় হিউস্টনের ‍‘হাউডি মোদি’ সমাবেশ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সফর পর্যন্ত সব জায়গায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল, তা সম্ভবত এখন শেষ। বোল্টন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার-সহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদেরও সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক সাময়িক সুবিধা দিতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আপনাকে তাঁর সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।

Latest article