উত্তরপ্রদেশের জাহানগঞ্জের দরিয়াগঞ্জের গ্রামের বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন নিশা সিং (Nisha Singh)। বয়স আনুমানিক ৩৩। শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথেই রাস্তায় তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় কয়েকজন যুবক। নিশা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় কয়েকজন যুবক। তিনি কথা বলতে না চাইলেও জোর করতে থাকে তাঁরা। তিনি তারপরেও কথা বলতে অস্বীকার করেন। এই কারণেই তাঁকে মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। মৃতার বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-বুদ্ধিলোপের কারিগর
জানা গিয়েছে, দীপক নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নিশার শরীরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই নিশাকে উত্যক্ত করছিলেন দীপক। ঘটনার দিন নিশা যখন তাঁর স্কুটারে ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন তখনও তাঁকে থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন দীপক। কিন্ত নিশা কথা বলতে না চাইলে দীপক এবং তার সঙ্গীরা রাস্তায় নিশাকে বেধড়ক মারধর করেন। এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্যেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-রাস্তায় প্রস্রাবের প্রতিবাদ করায় গুলি করে খুন ভারতীয় যুবককে
পুলিশের তরফে খবর, আগুন লাগা অবস্থাতেই পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন নিশা। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেডিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর। দীপক এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নিশার বাবা বলরাম সিং। কিন্তু আরও একবার নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যোগী রাজ্যে। চূড়ান্ত বর্বরতার শিকার হচ্ছেন একের পর এক নারী। সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে সংখ্যা তবু কোন সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।