কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের (KMC Election 2021) পর বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল হয়। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েন সদ্য প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। প্রকাশ্যে কিছু বলেন নি যদিও তবে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান সায়ন্তন। একদিনের ব্যবধানে ফের তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এবার জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই এক সঙ্গে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। প্রত্যেকেই উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মতুয়া বলয় বলে পরিচিত এলাকার জনপ্রতিনিধি। গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার অসীম সরকার, কল্যাণীর অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী গ্রুপ ছাড়েন।
আরও পড়ুন-মা সারদার জন্মতিথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
আর লাগাতার এই ঘটনার পরই তাঁর প্রাক্তন দল বিজেপির রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে দলবদল নিয়ে যে ভাবে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ বার তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “আরও পাঁচটা উইকেট গেল মনে হচ্ছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল আরও লেখেন, ‘’নিজ গুণে পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির। আজ আরও পাঁচটা গেল মনে হচ্ছে। শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাসে গিয়েছেন। আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়ে পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান-মুরলীধর লেন।’’
রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য বাবুল আসলে শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেই(Kailash Vijayvargiya) নিশানা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে ”কাঁকড়া” বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।