দুর্গাপুজো : পর্দাফাঁস বিজেপির দ্বিচারিতার

Must read

প্রতিবেদন : আর কত ভণ্ডামি করবে বিজেপি! বাংলার দুর্গাপুজো (Durgapuja) নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতার মুখোশ এবার খসে পড়ল। বাংলাকে অপমান করতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিজেপি মিথ্যাচার করে আসছে— বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না! বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্বজনীন করে তুলেছেন যিনি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই লাগাতার অপমান করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহেরা। আর এবার দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে নির্বাচনী মরশুমে রাজ্যে পরিযায়ী পাখির মতো উড়ে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলা দুর্গাপুজোর বন্দনা করছেন! বিজেপি, তোমার ক’টা মুখ? অমিত শাহ এসে বলে গেলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ। আর নরেন্দ্র মোদি এখন বলছেন, দুর্গাপুজো ও শারদোৎসব উপলক্ষে সেজে উঠেছে বাংলা। বিজেপি আসলে দু-মুখো সাপ। নির্বাচন আসতেই মুখের ভাষা পাল্টে গিয়েছে। ধরা পড়ে গিয়েছে আপনাদের ভণ্ডামি। এবার তো চুপ করুন।

আরও পড়ুন- হিডকোর নয়া চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তিনি একসময় অপমান করেছিলেন। সেই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যেই এখন নিজেকে ঢেকে রাখতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস এই মর্মে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে, মোদিজি এই ভণ্ডামি নিয়ে রাতে ঘুমাবেন কীভাবে? শুনে রাখুন, দুর্গাপুজো বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্বস্বীকৃতি দিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজোকে। সর্বজনীন বাংলার দুর্গোৎসব (Durgapuja) হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। আর এর সিংহভাগ কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর উদ্যোগেই বাংলার দুর্গোৎসব শেষে আয়োজিত হয় দুর্গা কার্নিভাল, যা ব্রাজিলের রিও কার্নিভালের মতোই রঙিন ও উজ্জ্বল। তারপর রাজ্যের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে দুর্গোৎসবকে ঘিরে বাংলার অর্থনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তো যারা একসময় বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে আক্রমণ করে বলেছিল বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, তারাই এখন বলছে, দুর্গাপুজো ও শারদোৎসব ঘিরে সেজে উঠেছে বাংলা। এটাই বাংলার দুর্গাপুজোর জয়।

Latest article