সংবাদদাতা, কোচবিহার : বিএসএফের চোখের সামনে তাঁকে একেবারে কাঁধে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। কিচ্ছু করতে পারেননি সীমান্তরক্ষীরা। রাজ্যের চাপে পড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে ফেরানো সম্ভব হয় শীতলকুচির অপহৃত কৃষক কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে (Krishnakanta Barman)। কী হয়েছিল? কীভাবে তাঁর ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা? বিএসএফের ভূমিকা— এসবই ফিরে এসে জানালেন কৃষ্ণকান্ত বর্মন। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, কৃষিকাজ করতে তো কাঁটাতারের ওপারে যেতেই হবে! তবে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। প্রসঙ্গত, কাঁটাতারের ওপারে জিরো খতিয়ানের জমিতে কৃষিকাজ করতে গেলে সোমবার শীতলকুচির মীরাপাড়ার গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশের সিঙ্গিমারি এলাকার বাসিন্দাদের গবাদি পশু এসে জমির ফসল নষ্ট করায় প্রতিবাদ করেছিলেন কৃষ্ণকান্ত বর্মন (Krishnakanta Barman)। এরপরে বাংলাদেশের দিক থেকে আসা পাঁচ দুষ্কৃতী তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে। সিঙ্গিমারি এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। এরপরে খবর পেয়ে আসে বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবি। তাঁর নাম পরিচয় জানতে চাইলে কৃষ্ণকান্ত বর্মন অভিযোগ জানান কীভাবে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জমি থেকে। তবে বাড়ি ফিরে প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কৃষ্ণকান্ত।
আরও পড়ুন- জেটিঘাটের রাস্তায় বড় ফাটল জেনেই ব্যবস্থা নিলেন অভিষেক