প্রতিবেদন : উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee)। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে জেতার জন্য দেদার টাকা ছড়িয়েছে সরকার। এক-এক জন এমপিকে কিনতে ১৫-২০ কোটি টাকা খরচা করা হয়েছে বলে খবর এসেছে। দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতায় নেমেই বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek banerjee)।
অভিষেক বলনে, টাকায় পণ্য বিক্রি হয়। যারা মানুষের কথা বলার জন্য পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন, তাঁরা যদি মানুষের আবেগকে বিক্রি করেন, তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারেন, মানুষ বিক্রি হন না। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক জায়গায় আমরা দেখেছি টাকা দিয়ে এমএলএ কেনাবেচা করে সরকার পাল্টেছে। বিজেপির এই টাকার খেলা আমরা ২০১২-এর নির্বাচনেও দেখেছি। পোলিং এজেন্ট কেনার জন্য টাকা ছড়িয়েছিল। বাংলার মানুষ ওদের উচিত জবাব দিয়েছেন। টাকা নিয়েছেন, আর ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। জনপ্রতিনিধি বা নেতা বিক্রি হতে পারেন, কিন্তু জনতা বিক্রি হন না। যে ১৫ জনকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তাঁরা কাকে ভোট দিয়েছেন সে-নিয়ে অনেক কথা। কিন্তু সবটাই গোপন ব্যালোটে হয়েছে।
নেপালের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, এ-ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে অন্য মতের প্রশ্ন নেই। আমরা চাই নেপালে শান্তি ফিরুক।
সুপ্রিম কোর্টে আধার কার্ডকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অন্যতম নথি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক বলেন, মুখ পুড়েছে কমিশনের। কমিশন এসআইআর করতে চাইছে। অথচ এই ভোটার তালিকার ভিত্তিতে জেতা জনপ্রতিনিধিরা মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করলেন! তাহলে সেটাও অবৈধ। সরকার তৈরি হয়েছে সেটাও বৈধ নয়। এসআইআর করতে চান? তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, কালকেই করুন, লোকসভা ভেঙে দিন, এসআইআর করে নতুন করে জনাদেশ নিন। বিজেপির রাজনৈতিক সদিচ্ছা তাহলেই বোঝা যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন- নেপালে জীবন্ত পুড়িয়ে খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন শান্তির বার্তা