পুজোয় ব্যস্ত পিংলার পটশিল্পীরা, হোটেল-মণ্ডপ থেকে আসছে কাজের অর্ডার

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের নয়া গ্রামের মাঠে এখন উৎসবের আনন্দ আর সৃষ্টির মহোৎসব।

Must read

মৌসুমী হাইত, পিংলা: পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের নয়া গ্রামের মাঠে এখন উৎসবের আনন্দ আর সৃষ্টির মহোৎসব। পুজোর আগে থেকেই পটশিল্পীরা তাঁদের ব্রাশ, রঙ আর পারদর্শিতার মাধ্যমে সৃষ্টিকাজে ব্যস্ত। এ বছরের পুজো পটচিত্রশিল্পীদের জন্য এক স্বপ্নের যাত্রায় পরিণত।গ্রামের প্রখ্যাত শিল্পী স্বর্ণ চিত্রকর আড়াই ফুট চওড়া ও চার ফুট লম্বা ৮০টি দুর্গা পটচিত্রের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন।

আরও পড়ুন-পুজো কমিটির সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় সভা

তিনি জানান, এই পটচিত্র কোনও মণ্ডপের জন্য নয়, এগুলো যাবে কলকাতার এক নামী হোটেলে। যার জন্য তিনি পেয়েছেন ৭ লক্ষ টাকার বরাত। তাঁর কথায়, এখন সারা বছর কাজ হয়, বিশ্বের দরবারে নয়ার পটচিত্রের পরিচিতি ঘটিয়েছেন পিংলার পটশিল্পীরা। পিংলার পটের কথা এখন সবাই জানেন। স্বনামধন্য শিল্পী বাহাদুর চিত্রকর, রূপসনা চিত্রকর, নাজরা চিত্রকরেরা কলকাতার একটি মণ্ডপ সাজানোর জন্য পেয়েছেন ২ লক্ষ টাকার বেশ কিছু দুর্গা, কৃষ্ণ এবং নানা পৌরাণিক দৃশ্য দিয়ে গড়া বিভিন্ন মাপের পটচিত্রের অর্ডার। এছাড়াও পুজোর আগে কলকাতা-সহ বাংলার নানা জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসছেন গ্রামে, পটশিল্পকর্ম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পটের ক্লিচে ছাপানো টি-শার্ট, কুর্তি, শার্ট, দোপাট্টা ইত্যাদির কদর বাড়ছে। বাড়ছে পটচিত্রের সম্প্রসারণ এবং আর্থিক সমৃদ্ধি। পুরনো দিনে দলে দলে ঘুরে গান গাইতে গাইতে উপার্জন করতে হত। এখন আর তার প্রয়োজন পড়ে না। পটশিল্পীরা পেয়েছেন সরকারি বৃত্তি এবং ভাতা। সরকারিভাবে তাঁদের আদর ও মর্যাদা বেড়েছে। বাজারে, পুজোমণ্ডপে, হোটেলেও এখন পটচিত্রের ঝলক। পুজোর আগে কাজের চাপ বাড়ায় খুশি পটশিল্পীরা। তাঁদের কথায় বিরক্তির বদলে ধরা পড়ছে উদ্যম, সবাই কমবেশি কাজ পাচ্ছি, সারা বছর কাজ হচ্ছে। তবে সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও সৃষ্টিশীল কাজের ধরন চাই। পট চিত্রকলা যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

Latest article