নতুন উপরাষ্ট্রপতিকে ৮ দফা পরামর্শ ডেরেকের

মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর কী কী করণীয়। রীতিমতো তথ্য তুলে দিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা দাবি জানিয়েছেন, যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে বিরোধীদের।

Must read

প্রতিবেদন: রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য বিরোধীদের নোটিশ গ্রহণ করা হোক আরও বেশি সংখ্যায়। নতুন উপরাষ্ট্রপতিকে এই পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের জবাবদিহি এবং দায়বদ্ধতার কারণেই নোটিশ গ্রহণের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণনকে মোট ৮ দফা পরামর্শ দিয়েছেন ডেরেক। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসার আগে এই পরামর্শ। মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর কী কী করণীয়। রীতিমতো তথ্য তুলে দিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা দাবি জানিয়েছেন, যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে বিরোধীদের।

 

তাঁর পরিসংখ্যান, ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৮ বছরে রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য গৃহীত হয়েছিল ১১০টি নোটিশ। কিন্তু পরের ৮ বছরে অর্থাৎ ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটা নেমে দাঁড়ায় ৩৬। গণতন্ত্রের স্বার্থে আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন ডেরেক। দাবি জানিয়েছেন, বিরোধী সদস্যদের গণহারে সাসপেন্ড বন্ধ করা হোক। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২৩ সালে সংসদে সাসপেন্ড করা হয়েছিল মোট ১৪৬ জনকে। তার মধ্যে ১০০ জনই লোকসভার সদস্য। সংসদের ইতিহাসে এই ঘটনা সত্যিই অভূতপূর্ব। এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ডেরেকের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি, চেয়ারপার্সন বা ডেপুটির অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করার জন্য ভাইস চেয়ার হিসেবে মনোনীত করতে হবে ৬ জন সদস্যকে। তাঁর অভিযোগ, সরকার পরিচালিত সংসদ টিভিতে ক্যামেরা এবং অনলাইনে ফোকাস করা হয় শুধুমাত্র ট্রেজারি বেঞ্চকেই। বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভ আদৌ দেখানো হয় না। এটা কি বিরোধী পক্ষকে সেন্সর করা নয়। অবিলম্বে বন্ধ হোক এই বৈষম্য।
ডেরেকের আর্জি, রাজ্যসভায় পেশ করা বিল আরও বেশি পরিমাণে বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হোক সংসদীয় কমিটিতে। যাতে প্রতিটি সদস্য বিলে সংশোধনী আনার সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করা হোক। ইলেকট্রনিক ভোটিংয়ের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক সদস্যদের। অবসান হোক গত কয়েক বছর ধরে চলে আসা এই অধিকার থেকে বঞ্চনার।

Latest article