জঙ্গি দমন অভিযানে গ্রেফতার পাঁচ সন্দেহভাজন আইএসআইএস জঙ্গি

দেশজুড়ে জঙ্গি দমন অভিযানে গ্রেফতার পাঁচ সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি।

Must read

দেশজুড়ে জঙ্গি দমন অভিযানে গ্রেফতার পাঁচ সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি। সূত্রের খবর, এরা রাসায়নিক অস্ত্র বানাতে পারদর্শী এবং আইসিস ‘স্লিপার মডিউল’-এর অংশ। এদের কাজ ছিল সংগঠনের শক্তি বাড়ানো। আলাদা ‘খিলাফত’ মডেল তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য তৈরী করা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, তেলঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আফতাব ও আবু সুফিয়ানকে দিল্লির নিজামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ঝাড়খণ্ড এটিএস এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ একটি দল অভিযান চালিয়ে রাঁচির ইসলামনগর থেকে দানিশকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, তিনি ছাত্র সেজে রাঁচির তবরক লজে থাকছিলেন। এই বছরের জানুয়ারিতে শহরে এসেছিলেন তিনি। বাকি দু’জনের মধ্যে কামরান কুরেশিকে রাজগড় মধ্যপ্রদেশ ও হুজেইফ ইয়েমেনকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ক্ষুদিরাম থেকে উত্তম কুমার পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

এদিনের এই তল্লাশি অভিযানে একটি পিস্তল, বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ। দানিশ ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ছিলেন এবং তিনি ছিলেন রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির বিশেষজ্ঞ। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের মধ্যে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বনেট, সালফার গুঁড়ো, পিএইচ ভ্যালু চেকার এবং বল বিয়ারিং আছে। রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও অস্ত্র আর ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকার ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক। ধৃত জঙ্গিরা এনক্রিপটেড মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন বিভিন্ন জায়গায়। ধৃতরা যে প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই সক্ষম সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই। আপাতত ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। কারা এদের সঙ্গে যুক্ত, কীভাবে নিজেদের মধ্যে এরা যোগাযোগ করত, কোথা থেকে সরঞ্জাম আসত সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্রের ফরেন্সিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।

Latest article