গ্রামীণ শিল্পীদের তৈরি সামগ্রী নিয়ে শহরে এবার পুজোর মেলা

Must read

প্রতিবেদন : ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুর্গাপুজোকে অন্যতম হাতিয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোগুলিকে অনুদান দেওয়া থেকে শুরু করে কার্নিভাল, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে এক নতুন অধ্যায়, তা হল পুজো অর্থনীতি৷ যার অঙ্ক আজ কয়েক হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সেই ভাবনাকে সামনে রেখে কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে শুক্রবার থেকে শুরু হল প্রথম পুজোর মেলা (mela)। আয়োজক বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বা বিএনসিসিআই। শুক্রবার মেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ও অশোক বণিক-সহ বণিকসভার শীর্ষকর্তারা। মেলায় রাজ্যের ১৬টি জেলা থেকে ৭২টি স্টল রয়েছে। মেলায় পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি তাঁদের তৈরি সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে। কী নেই মেলায় (mela)! শাড়ি, জামাকাপড় থেকে শুরু করে হাতের কাজ, পোশাক-আশাক, গহনা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, নানা ধরনের বেডশিট, জৈব চাল, মাশরুম, পটচিত্র, কাপডিশ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। পুজোর মুখে এই মেলা আয়োজন করার জন্য বণিকসভার কর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। তাঁরা যে সব সামগ্রী নিয়ে এখানে এসেছেন সেসব তো কলকাতায় পাওয়া যায় না। কিন্তু এই মেলার দৌলতে আমরা এখন এসব কলকাতায় বসেই পেয়ে যাচ্ছি। এর জন্য আমাদের আর গ্রামে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক এটাই ভেবেছিলেন। গ্রাম এবং শহর এখানে এসে মিলে যাচ্ছে। এর ফলে গ্রামের শিল্পীরাও একটা বাজার পেয়ে যাচ্ছেন তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি ও বিপণনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য এমএসএমইকে এত গুরুত্ব দেন। তাঁর ভাবনার ফলেই আজ গ্রামের শিল্পীরা রাজ্যের রাজধানীতে বসে নিজেদের সামগ্রী বিক্রি করতে পারছেন। কুণাল ঘোষ পুজোর মুখে আয়োজিত এই মেলায় সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, এই যে বাংলার শিল্প, বাঙালির শিল্প, হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প, এমএসএমই, তার পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাঁরা এই মেলায় আসতে পেরে আরও উৎসাহী হবে। মেলার স্টলগুলি ঘুরেও দেখেন কুণাল ঘোষ ও ডাঃ শশী পাঁজা।

আরও পড়ুন- পুজোর রিলিজে তিন ধামাকা

Latest article