প্রতিবেদন : যাদবপুরের ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট এখনও আসেনি। এলে জানা যাবে অনামিকা রাতে মদ্যপান করেছিলেন কি না। শুক্রবার কাঁটাপুকুর মর্গে অনামিকার ময়নাতদন্ত হয়। বাবা-মা এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন পুলিশি তদন্তেই তাঁদের আস্থা। পরিজনদের বক্তব্য, অনামিকাদের বাড়ি বসিরহাটে। পড়াশোনার জন্যেই কলকাতায় আসা। থাকতেন নিমতা এলাকায়।
আরও পড়ুন-মিডিয়া ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বিশ্ববাংলা সংবাদ
পড়াশোনায় প্রথম থেকেই ভাল ছিলেন অনামিকা। প্রত্যেকটি পরীক্ষার নম্বর সে-কথাই বলে। বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুরে যে অনুষ্ঠান ছিল, সেই অনুষ্ঠান থেকে রাত সওয়া ন’টা পর্যন্ত মাকে অনুষ্ঠানের ছবি মোবাইলে পাঠাচ্ছিলেন। বলেছিলেন, আরেকটি অনুষ্ঠান আছে। সে অনুষ্ঠান সেরেই বাড়ি ফিরবেন। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। তার পরেই রাতে মর্মান্তিক খবরটি আসে। প্রশ্ন, কী করে পুকুরের জলে পড়ে গেলেন অনামিকা। দুটি কারণ থাকতে পারে— কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, পা ফসকে পড়ে গিয়েছেন অথবা যদি মদ্যপান করে থাকেন, সেই কারণেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। অনামিকা কি একা ছিলেন? বন্ধুরা কেন মুখ খুলছে না। এই প্রশ্নগুলির নিরসন এখনও হয়নি। তবে সব ঘটনাই স্পষ্ট হয়ে যেত, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোনায় সিসিটিভি থাকত। রাতের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া যাদবপুরে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রশ্ন হল, একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরেও হুঁশ ফিরছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের?