প্রতিবেদন : নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাষাসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলছে। আজ, শনিবার রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata banerjee) নেতৃত্বে ডোরিনা ক্রসিংয়ে প্রতিবাদে মুখর ছিল আইএনটিটিইউসি। এই মঞ্চ থেকেই ঋতব্রত (Ritabrata banerjee) ঘোষণা করলেন, আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর ফের ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করবে আইএনটিটিইউসি। সেদিন লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। গোটা ধর্মতলা চত্বর মুড়ে ফেলা হবে মাইকে। আইএনটিটিইউসি’র এই দু’দিনের কর্মসূচিতে জেলা ভাগ করে জমায়েতের ব্যবস্থা করা হবে। ঋতব্রত বলেন, ২৯শে যাঁরা আসবেন তাঁরা ৩০ তারিখ আসবেন না। স্লট ভাগ করে দেওয়া হবে দু’ঘণ্টা করে। কিন্তু গোটা ধর্মতলার দখল থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক আইএনটিটিইউসি’র নেতা-কর্মীদের দখলে।
আরও পড়ুন-ত্রিকোণ প্রেমেই সর্বনাশা পরিণতি
এদিন সংগঠনের সব জেলা সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, স্বপন সমাদ্দার, সোমনাথ শ্যাম, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব হাজির ছিলেন এদিনের অবস্থান কর্মসূচিতে। সকলেই বিজেপির ভাষাসন্ত্রাস এবং বাঙালিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। ঋতব্রত তাঁর বক্তব্যে, ভাষাসন্ত্রাস এবং বাঙালির গর্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেশের গর্ব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যতীন দাস-সহ স্বাধীনতার মহান বিপ্লবীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে নাটক ‘তাসের দেশ’-এর গান উৎসর্গ করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশ্যে সে-কথাও বলেন। বোঝাতে চান বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি আজকের নয়, যুগ যুগ ধরে আবহমান কাল ধরে তা চলে আসছে। কিন্তু বাংলাবিরোধী বিজেপি তা ধূলিসাৎ করতে চায়, ধ্বংস করতে চায় শুধুমাত্র বাংলার বুকে গেরুয়া পতাকা ওড়ানোর জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পারেনি শুধুমাত্র জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফের একবার বিজেপিকে রুখে দেবে এই শপথ নেওয়া হল মঞ্চ থেকে।