সংবাদদাতা, আসানসোল : আসানসোল মহকুমার হিরাপুর কর্মকারপাড়ায় কর্মকার বাড়ির আদি পুজো শুরু হয় ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধ চলার সময়। এবারের পুজো ২৬৮ বছরে পড়েছে। কথিত, এই বাড়ির সদস্য নন্দলাল কর্মকার দামোদর নদে স্নান করতে গিয়ে একটি ঘট পান। সেই ঘট নিয়ে এসেই তিনি বাড়িতে পুজো প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে ঘটেই পুজো হত। পরে প্রায় ৮০ বছর ধরে পুজো হচ্ছে প্রতিমা গড়ে। মায়ের মূর্তি এখানে সাবেকি। সম্পূর্ণ ডাকের সাজ। এখানে কোনও পশুবলি হয় না।
আরও পড়ুন-দিঘার জগন্নাথধামের আদলে ১২৫ ফুটের মণ্ডপ
শুধুমাত্র চালকুমড়ো ও আঁখ বলি দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের পুজো হয়। মন্দিরের মধ্যেই ভাজা হয় খই এবং বর্তমানে ঢেঁকি না পাওয়ায় মেশিনের আতপ চালের আর্সে তৈরি করে পুজোর চারদিন ভোগ নিবেদন করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় মিঠাই ও ফল। প্রতি বছর পুজোর আগেই সুদুর আমেরিকা থেকে কর্মকার বাড়ির সদস্যরা চলে আসেন গ্রামের এই পুজোয়। কর্মকার বাড়ির পুজোর রীতিনীতি এখনও একই রকম রয়েছে। পুজোর পাঁচ দিন মায়ের মুখের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, মায়ের মন্দির থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধপত্র দেওয়া হয় মানুষকে।