প্রয়াত একুশে পদক প্রাপ্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) লোকসঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভিন। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। গত বুধবার থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল শিল্পীকে। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে এদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।
আরও পড়ুন-ধসের জেরে পুজোর আগে বন্ধ টয় ট্রেন
গত ৫ জুলাই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। চিকিৎসা শেষে ২১ জুলাই রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন তিনি। ২ সেপ্টেম্বর আবার সুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টেই ছিলেন।
আরও পড়ুন-মিথ্যাচার ছাড়ুন, আসল গোপাল পাঁঠাকে চিনুন
বাংলার গানে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন ফরিদা পারভিন। বাউল সম্রাট লালনের অসংখ্য গান তাঁর কণ্ঠে নতুনভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। তাঁর গাওয়া— “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়”— আজও মানুষের মনে অমলিন। সেই গানই যেন আজ প্রতিধ্বনিত করছে ভক্তদের হৃদয়ে, শিল্পীর শূন্যতাকে আরও প্রকট করে।
পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগীতজীবনে এক অনন্য আসন গড়ে তুলেছিলেন ফরিদা পারভিন। দেশ-বিদেশের অগণিত মঞ্চে গান শুনিয়ে দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছেন তিনি। আজীবন সাধনায় তিনি প্রমাণ করেছিলেন, লোকগানের কোনও সীমানা নেই— তার ভাষা সার্বজনীন।