গত রবিবার হয়ে গিয়েছে ১৪ নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের (SSC) পরীক্ষা। আজ হতে চলেছে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা। তবে পুরোনো চিত্রের পরিবর্তন হয় নি একেবারেই। আগের দিনও দেখা গিয়েছিল ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের ভিড়। আজও তাই। রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য থেকে এই রাজ্যের পরীক্ষায় বসেছিলেন অনেকেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদিনও একই ছবি প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন-হিন্দি দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
১২ হাজারের বেশি পরিক্ষার্থী এসেছেন বাংলায় পরীক্ষা দিতে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের পরিক্ষার্থীদের ভিড়ই বেশি বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ থেকে এদিন পরীক্ষা দিতে এসেছেন দীনেশকুমার পাল। যাদবপুর বিদ্যাপীঠে সিট পড়েছে তাঁর। দীনেশ ক্ষোভের সুরেই জানালেন পিএইচডি, এমফিল করার পরেও চাকরি নেই। যখন যেখানে চাকরির পরীক্ষার খবর জানতে পারেন সেখানেই ছুটে যান তিনি। তিনি সাফ জানান গোটা দেশ ধর্ম নিয়ে মেতে রয়েছে, বেকারত্ব নিয়ে কারও কোনও চিন্তা নেই। ৪-৫ হাজার টাকার চাকরি হাতে গুঁজে দিয়ে বলছে, কত চাকরি হয়েছে। শিক্ষিত লোকজন বেকার, অথচ বেআইনি পথে চাকরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের অবস্থা খুবই খারাপ। ২০১৮ সালের পরে কোনও রকম নিয়োগ নেই। এত বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ কিন্তু সেখানে ২-৩ হাজার শূন্য পদে কী হবে? তাই পিএইচডি, করে নেট কোয়ালিফাই করে ঘুরছে প্রচুর মানুষ।
আরও পড়ুন-যাদবপুরকাণ্ডে মনোজ ভর্মাকে চিঠি মহিলা কমিশনের, স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের
প্রসঙ্গত, হিন্দি মাধ্যমে ৩৭০ শূন্যপদ, তাতেই আবেদন ভিন রাজ্যের ১২ হাজারের বেশি পরিক্ষার্থীদের। আগের দিন হিন্দি মিডিয়ামে আজকের পরীক্ষার শূন্যপদ ছিল ২২৫১। সেই শূন্যপদের জন্যই বিপুল পরিমান আবেদন জমা পড়েছিলে। ২০১৬ এর পরীক্ষায় হিন্দি মিডিয়ামদের অনুমতি ছিল। এবারেই প্রথম। এই প্রথম না যদিও আগেরবারের রাজ্য়ে এসে অনেকেই তাঁদের নিজেদের রাজ্যের নিয়োগের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলছে।