গ্রামীণ হস্তশিল্পীদের পাশে শহরের পুজো উদ্যোক্তারা

পুজোর মুখে বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীদের থেকে তাঁরা মণ্ডপ সাজানোর জিনিসপত্র থেকে শুরু করে পুজোমণ্ডপে আসা অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য উপহারও কিনলেন।

Must read

প্রতিবেদন : পুজোর আগেই পুজোর মেলা! বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই)-এর উদ্যোগে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সম্পন্ন হল ‘বেঙ্গল ফেস্টিভ্যাল ফেয়ার’। রবিবার মেলার শেষদিনে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের আহ্বানে মেলায় হাজির শহর কলকাতার একাধিক পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজোর মুখে বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীদের থেকে তাঁরা মণ্ডপ সাজানোর জিনিসপত্র থেকে শুরু করে পুজোমণ্ডপে আসা অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য উপহারও কিনলেন। বিএনসিসিআই-এর সভাপতি অশোক বণিকের আয়োজনে বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনাও জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন রামমোহন সম্মিলনী, সমাজসেবী, বৃন্দাবন মাতৃমন্দির, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি, বেলেঘাটা ৩/১-এর পল্লি উন্নয়ন সমিতি, তরুণ সংঘ, হরিনাথ দে রোড সর্বজনীন, শ্যামপুকুর স্ট্রিট সর্বজনীন, উত্তর কলকাতা সর্বজনীন, উল্টোডাঙা জয়ন্তী স্পোর্টিং ক্লাব, ওয়ার্ডস ইন্সটিটিউশন স্ট্রিট দুর্গাপুজো সমিতি, যুগীপাড়া রোড পুজো কল্যাণ সমিতি, দক্ষিণেশ্বর ডোমেস্টিক এরিয়া দুর্গাপুজো সমিতি, ট্যাংরা ঘোল পাড়া সর্বজনীন-এর মতো প্রায় ১৬-১৭টি পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন-সন্ধ্যায় মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

এছাড়াও ছিলেন অরূপ চক্রবর্তী, অয়ন চক্রবর্তী, মৃত্যুঞ্জয় পাল, অরিঞ্জয় বসু, সুমন ভট্টাচার্য, সুকান্ত সাহা-সহ বিশিষ্টরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁরা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনার প্রশংসা করেন। পুজোর মুখে এই ধরনের মেলা আয়োজনে বণিকসভার কর্মকর্তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই রাজ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে গুরুত্ব দেন। তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে বিএনসিসিআই আয়োজিত এই মেলায়। এখানে গ্রামবাংলার ১৬টি জেলার হস্তশিল্পীরা তাঁদের নিজেদের হাতে তৈরি নানারকমের জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। আর পুজোর আগে বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীরা যখন কলকাতায় এসেছেন, তখন কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটির তরফেও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা এখান থেকে তাঁদের অতিথিদের জন্য কেনাকাটা করলেন। এটাও পুজো অর্থনীতির একটা অংশ। গ্রামবাংলার শিল্পীদের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সেই অর্থনীতিতে সামান্যতম সাহায্য করলাম। প্রসঙ্গত, গত পাঁচদিন ধরে একছাদের তলায় বাংলার ১৬টি জেলার হস্তশিল্পীরা তাঁদের শিল্পসম্ভারের পশরা সাজালেন। মেলায় ছিল বিভিন্ন জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র থেকে শুরু করে শাড়ি, পাঞ্জাবি, পটচিত্র, জৈব-চাল, সাজগোজের জিনিস-সহ নানা সামগ্রী।

Latest article