চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত দেবানন্দপুর গ্রামে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Sarat Chandra Chattopadhyay)। এখানেই তাঁর বাল্যজীবন কাটে এবং প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষালাভ হয়। তাঁর সাহিত্যে এখানের বিশালাক্ষী মন্দির, প্যারি পণ্ডিতের পাঠশালা, গড়ের জঙ্গল সরস্বতী নদীর বাঁশের ব্রিজ, দত্ত মুন্সীদের পুজোর মণ্ডপ, হেদুয়ার পুকুর বারবার উঠে এসেছে। দেবানন্দপুরে থাকার সময়ই তিনি কাশীনাথ রচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-কমে যাচ্ছে গঙ্গোত্রী হিমবাহর দৈর্ঘ্য, গঙ্গোত্রীর দৈর্ঘ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হুগলির দেবানন্দপুরে জন্মভিটে সংস্কারের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ”বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর জন্মদিবসে তাঁকে জানাই আমার প্রণাম। তাঁর লেখা বিভিন্ন উপন্যাস ও অন্যান্য রচনায়, তিনি সহজ ভাষায় বাঙালি জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, সামাজিক অবিচার ও সংস্কারের চিত্র যে দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলনা সারা বিশ্বসাহিত্যেই বিরল। তাঁর রচিত ‘শ্রীকান্ত’ ‘পথের দাবী’, ‘দত্তা’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেবদাস’ সহ অজস্র রচনা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং তাঁকে অমর করে রেখেছে। ভারতীয় সাহিত্য ও চলচ্চিত্র তাঁর কাছে চির ঋণী।
আরও পড়ুন-ইঞ্জিনিয়ার দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা
আমি গর্বিত, আমাদের রাজ্য সরকার এই প্রবাদপ্রতিম মানুষটির হাওড়ায় রূপনারায়ণের তীরে দেউলটি-সামতাবেড়ে -পানিত্রাস’র বাসস্থান ও হুগলির দেবানন্দপুরের জন্মভিটা – দুটোরই যথাযথ সংস্কার করেছে ও করছে। হাওড়ার দেউলটিতে, তাঁর ‘হেরিটেজ’ বাড়িটিকে আমরা সাজিয়ে দিয়েছি। এটা দেখতে এখন অসংখ্য মানুষ আসেন। তাঁদের সুবিধার জন্য রাস্তা, আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ সবকিছু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওখানে আমরা একটি ‘শরৎ স্মৃতি উদ্যান ও ইনফর্মেশন সেন্টার’-ও করছি। হুগলির দেবানন্দপুরে জন্মভিটে সংস্কারের জন্য আমরা ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি, তাড়াতাড়ি কাজ শুরুও হয়ে যাবে। কিছুদিনের মধ্যে দেবানন্দপুরও রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে আরো উঠে আসবে।”
বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর জন্মদিবসে তাঁকে জানাই আমার প্রণাম।
তাঁর লেখা বিভিন্ন উপন্যাস ও অন্যান্য রচনায়, তিনি সহজ ভাষায় বাঙালি জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, সামাজিক অবিচার ও সংস্কারের চিত্র যে দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলনা সারা…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 15, 2025