একুশতম ইলিশ উৎসব কাঁকুড়গাছিতে, খাদ্যাভ্যাসে জবরদস্তি মানবে না বাংলা-বাঙালি

আমি কী খাব, কী পরব, কোন ভাষায় কথা বলব— তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে না। মাছে ভাতে বাঙালি মাছই খাবে।

Must read

প্রতিবেদন : আমি কী খাব, কী পরব, কোন ভাষায় কথা বলব— তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে না। মাছে ভাতে বাঙালি মাছই খাবে। যার ইচ্ছা হবে সে মাংস খাবে, আবার যার ইচ্ছা হবে সে নিরামিষ খাবে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। বাংলা ও বাঙালির সেই সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। রবিবার বিধায়ক পরেশ পালের উদ্যোগে ইলিশ উৎসবে (Hilsa Festival) বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিল তৃণমূল। তৃণমূলের সাফ কথা, খাদ্যাভ্যাসে জোরজবরদস্তি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এর প্রতিবাদে শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, ইলিশ উৎসবের মতো সামাজিক কর্মসূচিও আরও বেশি করে করতে হবে।

আরও পড়ুন-কাটোয়ায় সঙ্গীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ইন্দ্রনীল, অরুন্ধতী, শিবাজিদের

২১ বছর ধরে বিধায়ক পরেশ পাল ইলিশ উৎসব করে চলেছেন। রবিবার কাঁকুড়গাছিতে এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, সঞ্জয় বক্সি, স্মিতা বক্সি, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বিধায়ক জুন মালিয়া, অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়, কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, পাপিয়া হালদার, মৃত্যুঞ্জয় পাল, শক্তিপ্রতাপ সিং, সৌম্য বক্সি, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ প্রমুখ। রুপোলি শস্য পাতে রেখে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলা এবং বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে ইলিশ মাছের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পরেশদা এই ঐতিহ্যকে উত্তর কলকাতায় উৎসবের রূপ দিয়েছেন। বাংলা ও বাঙালির এই উৎসব চলতে থাকুক। তাঁর কথায়, বাংলার উপর রাগ ফলাতে গিয়ে এখন শিকড় ধরে টান মারছে। আমরা বলছি, বাংলা আছে বাংলাতেই। একজনও বৈধ ভোটারের গায়ে হাত পড়লে গোটা বাংলা থেকে এক লক্ষ কর্মী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লি ঘেরাও অভিযান করবে। বিজেপি আর কেন্দ্রীয় সরকারকে কেউ যেমন অধিকার দেয়নি আমাদের মাতৃভাষাকে আক্রমণ করার, কেউ অধিকার দেয়নি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে চোখ তুলে তাকাবার। এই ষড়যন্ত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। শুধু রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে নয়, পরেশ পালের ইলিশ উৎসবের মতো অনেক সামাজিক উৎসবের মাধ্যমে যাতে বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। কোনওভাবেই বাঙালিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। ইলিশ উৎসবের মতোই আরও অনেক উৎসবে ফুটে উঠবে বাংলার সংস্কৃতির জয়গান।

Latest article