যাদবপুরের ছাত্রী মৃত্যুতে এবার খুনের অভিযোগ যাদবপুর থানায়

তাঁর মেয়েকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে বলে আগেই সন্দেহ করেছিলেন মৃত ছাত্রীর বাবা। এ বার সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Must read

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রী মৃত্যুতে সোমবার যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের বাবা। তাঁর অভিযোগ, যে মেয়ে অন্ধকারে ভয় পেতেন, একটা ছোটো পোকা দেখলে ঘরে ছোটাছুটি করতেন, তিনি কীকরে ওই পুকুর পাড়ে একা রাতে গিয়েছিলেন!

বৃহস্পতিবার, গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের রহস্যমৃত্যু হয়। ওই দিন রাত ৯টা ৮ মিনিটে মাকে ফোন করেছিলেন অনামিকা। সাড়ে ৯টার মধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাবেন বলেও জানান। রাত ১১টা নাগাদ এক সহপাঠী অনামিকার বাড়িতে ফোন করে জানান, অনামিকা জলে পড়ে গিয়েছেন। এক সহপাঠীর কাছে অনামিকা ব্যাগ রেখে শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিলেন। তাঁর দেহের ২ কনুইয়ের কাছে ক্ষত চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ অনামিকার বাবা।

আরও পড়ুন-বিহারের তালিকা সংশোধনে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে: সুপ্রিম কোর্ট

তাঁর মেয়েকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে বলে আগেই সন্দেহ করেছিলেন মৃত ছাত্রীর বাবা। এ বার সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সোমবার সকালে প্রথমে লালবাজারে যান অনামিকার মা-বাবা। সেখানে তদন্তকারী ও হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তাঁরা যান যাদবপুর থানায়। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।

মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কেউ ঝিলের জলে ঠেলে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। অনামিকা সাঁতার জানতেন না। এমনকী, মেয়ে কোনওদিন নেশাও করেনি। তাঁকে জোর করে মাদক খাইয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও সন্দেহ অনামিকার বাবা। অনামিকাকে আদৌ মাদক খাওয়ানো হয়েছিল কি না, তা ভিসেরা রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকবে বলে পুলিশসূত্রে খবর। অনামিকার বাবার অভিযোগ, যে মেয়ে অন্ধকারে ভয় পেতেন। একটা ছোটো পোকা দেখলে ঘরে ছোটাছুটি করতেন। তিনি কীকরে ওই পুকুর পাড়ে একা রাতে গিয়েছিলেন! হয়ত তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে কেই ডেকে নিয়ে গিয়েছিল- সন্দেহ পরিবারের।

আরও পড়ুন-ষড়যন্ত্রের অভিযোগ! অর্থমন্ত্রকের উপসচিবের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ঘাতক BMW-র মহিলা চালক

ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়াকে ডেকে জিজ্ঞসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট থেকে শুরু করে সায়েন্টিফিক উইংয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু কর পুলিশ। এ বার খুনের মামলায় তদন্ত হবে।

Latest article