প্রতিবেদন : দমদম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিদায় জানানোর সময় কনভয় নিয়ে বিজেপির মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। সুকান্তের অভিযোগ উঠতেই তার জবাব দিল তৃণমূল। দল জানিয়ে দিল, এরকম কোনও ঘটনাই বিমানবন্দরে ঘটেনি। বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করতেই তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সম্পূর্ণ বিকৃত প্রচার করছে। বিজেপি বলতে চাইছে, বিমানবন্দরে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু তাঁর কনভয় নিয়ে ঢুকতে পারলেও সুকান্ত মজুমদারকে নাকি আটকানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সর্বৈব মিথ্যা। এ-বিষয়ে পুলিশ ও স্বয়ং সুজিত বসু জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ওয়াকফ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের ধাক্কা
আসল ঘটনাটা হল, সুজিত বসুও অন্যদের মতো গাড়িটি বাইরে রেখে ভিতরে ঢুকেছেন। সুকান্তবাবু যা বলছেন, সেরকম কিছুই ঘটেনি। সুকান্তবাবু হঠাৎই এই নিয়ে নাটক করে প্রচারে আসতে চাইছেন। এ-প্রসঙ্গে কুণাল আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, যখন কোনও ভিভিআইপি মুভমেন্ট চলে, তখন তার একটা ব্লু বুক থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ব্লু বুক থাকে এসপিজির হাতে। তারাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কোন গাড়ি ভিতরে ঢুকবে, কোন গাড়ি ভিতরে ঢুকলেও কতদূর পর্যন্ত যাবে, সবটাই ঠিক করে এসপিজি। সেই তালিকা তারাই পুলিশকে দেয়। ফলে বাস্তবটা হচ্ছে, সুজিত বসু গাড়ি বাইরে রেখেই ঢুকেছিলেন। আর সুকান্তর কথা যদি সত্যি হয় তাহলে তো পরিষ্কার প্রধানমন্ত্রীই তাঁকে ঢুকতে দিতে চাননি! কারণ, এসপিজিই গাড়ির নম্বরগুলি পুলিশকে দেয়। তাই পুলিশ যদি সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি ঢুকতে না দেয়, তার মানে আসলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে ঢুকতে দেয়নি। তা এই নিয়ে এখন উনি নাটক করছেন? এসবের কোনও গুরুত্ব নেই। আসলে শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়েছেন, দিলীপ ঘোষও নানা ভাবে প্রচারে আছেন। আপনি দলে এলেবেলে হয়ে গিয়ে এসব নাটক করবেন না। সুজিত বসু কোনও অন্যায্য সুবিধা নেননি।