নয়াদিল্লি: চন্দননগরের রুশ বধূর শিশুকে নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনার জন্য দিল্লি পুলিশকেই দায়ী করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার এই কারণে দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। পুলিশের দিকে আঙুল তুলে আদালত সরাসরি বলল, আপনাদের জন্য অপহৃত হয়েছে শিশু। শিশুর অপহরণের জন্য দিল্লি পুলিশও সমানভাবে দায়ী। তারা কর্তব্য পালন করেননি বলেই শিশুটিকে অপহরণ করা সম্ভব হয়েছে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্যর বাগচীর বেঞ্চ এদিন কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়, শিশুটিকে কীভাবে আদালতের হেফাজতে ফিরে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে পথ খুঁজতে হবে দিল্লি পুলিশ ও বিদেশমন্ত্রককেই।
রুশ মহিলা ভিক্টোরিয়া বসু ও তাঁর শিশুসন্তানের এখনও নাগাল পায়নি দিল্লি পুলিশ। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক ও দিল্লি পুলিশের য়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে তা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তে গাফিলতির প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের অবহৃত সন্তানকে হেফাজতে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে দ্রুত নির্দেশে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আর সময় নষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারকে এদিন জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)৷ ‘‘রুশ দূতাবাসের যে কর্মী ভিক্টোরিয়াকে সাহায্য করেছেন দেশ ছেড়ে পালাতে, সেই কর্মীকে প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে কি না, খতিয়ে দেখুক দিল্লি পুলিশ৷ এই ব্যক্তিকে জেরা করলে হয়তো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে৷ তবে এই বিষয়ে আদালত কোনও অর্ডার দেবে না।’’ পর্যবেক্ষণে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্তর৷ ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বহু পুরনো৷ এই সম্পর্কের খাতিরেই ভারত সরকারকে নিশ্চয়ই সহায়তা করবে রাশিয়া, পর্যবেক্ষণে আশাপ্রকাশ করেছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত৷
এদিন অপহৃত শিশুর বাবা সৈকত বসু একটি বন্ধ খামে কিছু তথ্য দিয়েছেন আদালতকে। যেখানে হংকংয়ের একটি সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন-অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি আমরা কোনও নরম নীতি নেব না: ট্রাম্প