কোথায় শান্তি? মোদির সফর শেষ হতে না হতেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ মণিপুরে

Must read

ইম্ফল: মোদির সফর শেষ হতে না হতেই ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর (manipur)। রবিবার রাতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। জ্বালিয়ে দেওয়া হল চূড়াচাঁদপুরের কুকি নেতা জিনজা ভুয়ালজঙের বাড়ি। কুকি জো কাউন্সিলের মুখপাত্র এই জিনজা। এরপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে প্রবল উত্তেজনা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় মোদির পোস্টার। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করলে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ।
অগ্নিগর্ভ মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী পা রাখার প্রয়োজন মনে করেননি গত প্রায় আড়াই বছর। তারপরে তাঁর দায়সারা লোকদেখানো ঝটিকা সফর। যে ধরনের উন্নয়নের ঘোষণা তিনি করেছেন তাতে কোনওভাবেই মণিপুরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়নের বার্তা নেই। বিরোধীদের অভিযোগ, যে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাতে পাহাড় থেকে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ সমতলে এসে পরিষেবা পাবেন না। আবার সমতলের মানুষ বাণিজ্য বা অন্য প্রয়োজনে পাহাড়ে যেতে পারবে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের কী অর্থ? কেনই বা কাঁড়িকাঁড়ি টাকার অপচয়?
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর (manipur) সফরের অঙ্গ ছিল চূড়াচাঁদপুর এবং রাজধানী ইম্ফল। চূড়াচাঁদপুরে সভা চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত দেরিতে কেন প্রধানমন্ত্রী তাদের রাজ্যে? শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাগত জানানো ব্যানার ছিঁড়েছিল স্থানীয় কিছু কুকি যুবক। প্রধানমন্ত্রীর মন রাখতে সেই যুবকদের গ্রেফতার করে মণিপুর প্রশাসন। এই ঘটনার জেরেই প্রধানমন্ত্রী মণিপুর ছেড়ে বেরোতেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর। কুকি যুবকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পাথর ছোঁড়া শুরু হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। চুড়াচাঁদপুর থানা ঘেরাও করে কয়েকশো কুকি যুবক বিক্ষোভ দেখায়। চাপে পড়ে গ্রেফতার করা যুবকদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় মণিপুর পুলিশ। কার্যত শান্তি প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, পাহাড়ি রাজ্যটিকে আরও একবার অশান্ত করে মণিপুর ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন-গাফিলতির জন্য দিল্লি পুলিশকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা

Latest article