ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেরাদুন, নিখোঁজ বহু

বছরভর মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসের ফলে বিধ্বস্ত দেবভূমি। ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন (Dehra Dun)।

Must read

বছরভর মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসের ফলে বিধ্বস্ত দেবভূমি। ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন (Dehra Dun)। সোমবার গভীর রাতে দেরাদুনের সহস্রধারা এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে ব্যাপক পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তামসা নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে নদীর ধারে বেশ কয়েকটি এলাকায় জল ঢুকে বাড়িঘর, গাড়ি, দোকান, বাজার সব ভেসে গিয়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে একাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন।

আরও পড়ুন-পিজির ‘অনন্য’র উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

দেরাদুনের মোহানি রোড, বলবীর রোড, পূরণ বস্তি, ভগৎ সিং কলোনি, সঞ্জয় কলোনি জলমগ্ন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজদের জন্য তল্লাশি শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। সোমবার গভীর রাতে দেরাদুনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, এসডিআরএফ এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই পুরো পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এদিন জলের তোড় এতটাই জোরদার ছিল যে এর ফলে ভেসে গিয়েছে বাস, ছোট গাড়ি। আপাতত জেলাশাসকের তরফে দেরাদুনের সমস্ত স্কুল (প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিন আর বেরোজগার, জিএসটির নামে লুঠেরার সরকার

সবথেকে সমস্যার পরিস্থিতি হল দেরাদুনে তামসা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাপকেশ্বর মহাদেব মন্দির । মন্দিরের বাইরে শিবমূর্তি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করে এবং মন্দির চত্বর সম্পূর্ণ ডুবে যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে চারপাশের এলাকার অবস্থা মোটেও ভাল না। টন নদীর সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় দেরাদুনের সঙ্গে পাচ্চাদুন এলাকার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন এবং যান চলাচল ব্যাহত। গাড়ি সিমলা বাইপাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ নগর হাইওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দেরাদুন এবং তেহরি গাড়োয়ালে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার সারাদিন আবহাওয়া একইরকম থাকবে যার ফলে সমস্যা বাড়তে পারে অনেকটাই। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই বছরে বর্ষায় উত্তরকাশীর ধারালি-হর্ষিল, রুদ্রপ্রয়াগের চেনাগড়, বাগেশ্বরের কাপকোট, চামোলির থারালি, পাউরির সাইনজি এবং নৈনিতালের বেশ কিছু অংশে ভারী ও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পাশাপাশি ভূমিধসের ফলে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত প্রায় ১২৮ জন, ৯৪ জন মানুষ নিখোঁজ।

Latest article