দিল্লির বাজার দখলে মুর্শিদাবাদের পাট-শিল্প

ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে গয়না— সারি-সারি স্টল প্রত্যেকটিতেই পাটের তৈরি জিনিস। সূক্ষ্ম বুনোন, রঙিন নকশা, চোখধাঁধানো পাটের কাজ।

Must read

অনুরাধা রায়: ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে গয়না— সারি-সারি স্টল প্রত্যেকটিতেই পাটের তৈরি জিনিস। সূক্ষ্ম বুনোন, রঙিন নকশা, চোখধাঁধানো পাটের কাজ। নিজেদের হাতে-তৈরি সম্ভার নিয়ে মেলায় হাজির মহিলারা। বিএনসিসিআইয়ের উদ্যোগে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সম্প্রতি পুজোর মেলায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। মেলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাটের তৈরি সামগ্রীর স্টলগুলি।

আরও পড়ুন-সহিংসতার জেরে ৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

শুধু হস্তশিল্প প্রদর্শন নয়, পাটের সামগ্রীর মধ্যেই জেলার তরফে এক বিরাট বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। পলিজুট তৈরি করে বাংলার শিল্পকে ক্ষতি করার যে চক্রান্ত দিনের পর দিন করছে কেন্দ্র এবার তারই জবাব দিতে মুর্শিদাবাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পাড়ি দিচ্ছেন দিল্লি। ওখানে প্রদর্শনীতে বাংলার পাটের তৈরি নানা কাজ তুলে ধরবেন তাঁরা। থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি অন্যান্য সামগ্রীও। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুকান্ত সাহা জেলার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, রাজ্যের বাইরে প্রত্যেক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছেন বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এবার দিল্লি, ওড়িশায় প্রদর্শনীতে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অতিরিক্ত জেলাশাসক আরও বলেন, রাজ্যের প্রকল্প আনন্দধারার মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ১১ লক্ষ মহিলা ১ লক্ষ দলে যুক্ত আছেন। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করেন। বাড়ির কাজ সামলে মুর্শিদাবাদের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই মহিলারা স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মেলা বা প্রদর্শনীতে গিয়ে তাঁদের সামগ্রী শুধু বিক্রিই করছেন না, নিয়ে আসছেন আরও কাজের বায়না। এরপর তাঁরা সেগুলি ভাগ করে দিচ্ছেন অন্য মহিলাদের। এইভাবেই বাড়ছে স্বনির্ভর হওয়ার সংখ্যা।

Latest article