প্রতিবেদন : বিশ্বজোড়া নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। সারাদেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার কোমর বাঁধছে ওমিক্রনের মোকাবিলার জন্য। ওমিক্রন মোকাবিলায় রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামোগত ভাবে উন্নত করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় তাঁরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন-পুণ্যার্থীদের স্নান করাবে ড্রোন
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটির সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করে তাঁদের পরামর্শমতো কাজ করা হচ্ছে। করোনার দু’টি পর্বে প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাই বিষয়টি এখন অনেকটাই জানা। আগের দু’টি পর্বে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে গোটা দেশে, এমনকী, বিশ্বের পরিসংখ্যানে রাজ্যের মৃত্যুর হার সব থেকে কম। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শহর-জেলা সর্বত্রই পরিকাঠামো উন্নয়নের অনেক কাজ হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দেখবেন প্রস্তুতি, করবেন প্রশাসনিক বৈঠকও, ২৯শে গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী
দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকার-অধিগৃহীত বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৬০০-রও বেশি হাসপাতালে মোট ৩৩,৪৬৪টি কোভিড শয্যা ছিল। যা এখন কমিয়ে ২৩,৯৪৭টি করা হয়েছে। সে সময়ে বেসরকারি হাসপাতালের যতগুলি করে শয্যা সরকার নিয়েছিল, তার প্রায় সবই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার শহর এবং জেলা স্তরের সরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনমতো একটি-দু’টি করে কোভিড ওয়ার্ড রেখে বাকিগুলি অন্য পরিষেবায় ব্যবহার করতে।’’
আরও পড়ুন-বেআইনি শ্রমিক নিয়োগ নয়
অজয়বাবু আরও জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যে এখন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কম। হাসপাতালে ভর্তির হারও তুলনায় অনেক কম। ফলে অধিকাংশ হাসপাতালের কোভিড শয্যা ফাঁকা থাকছে। তাই অন্য রোগীদের চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই সরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটি-দু’টি করে কোভিড ওয়ার্ড রেখে বাকিগুলি অন্য পরিষেবায় ব্যবহার করতে। তবে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে এখনও কোভিডের চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো রাখা থাকছে। ওমিক্রন সন্দেহভাজনদের জন্য দুই হাসপাতালেই আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডও রাখা থাকছে।