গুজরাতে নির্মাণ শ্রমিকদের দুর্দশা, কল্যাণ বোর্ড অচল, ২,২৪৩ কোটি টাকা অব্যবহৃত

রাজ্যে এই শিল্পে শ্রমিক কল্যাণ ব্যবস্থার হালহকিকত নিয়ে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) তার রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

Must read

প্রতিবেদন: মোদিরাজ্য গুজরাতে নির্মাণ শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়। খোদ সরকারি রিপোর্টেই তা বলা হয়েছে। রাজ্যে এই শিল্পে শ্রমিক কল্যাণ ব্যবস্থার হালহকিকত নিয়ে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) তার রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতেও হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির

সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, গুজরাতের নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এর মূল কল্যাণ বোর্ডটির কোনও বৈধ সদস্য নেই এবং প্রায় ৭২ শতাংশ নিয়মিত পদ শূন্য রয়েছে। গুজরাত বিধানসভায় পেশ করা এই অডিট রিপোর্টে গভীর প্রশাসনিক ব্যর্থতার উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, শ্রমিক ও নিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব করার কথা যে কল্যাণ বোর্ডের, তা গত পাঁচ বছর ধরে একজন মাত্র সরকারি আমলা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ২০১১ সাল থেকে নীতি নির্ধারণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা কমিটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এই প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বিজেপি শাসিত রাজ্যটিতে সবচেয়ে দুর্বল শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ তহবিল মারাত্মকভাবে অব্যবহৃত থেকেছে। ২০০৬ সাল থেকে ৪,৭৮৭.৬ কোটি টাকা কল্যাণ সেস হিসাবে সংগৃহীত হলেও সিএজি দেখতে পেয়েছে যে এর ৪৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২,২৪৩ কোটি টাকা সরকারি হিসাবেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শ্রমিকদের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক কল্যাণ তহবিল কখনও স্থাপনই করা হয়নি। সংগৃহীত সেসের অর্থ অন্য খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মোট অর্থের মাত্র অর্ধেক বোর্ডকে দেওয়া হয়েছিল। সেইসাথে সিএজি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে এই অব্যবস্থাপনা গ্রাউন্ড-লেভেল কার্যক্রমকেও অচল করে দিয়েছে। পরিদর্শক পদে ৪২ শতাংশ শূন্যতা থাকার কারণে অনেক জেলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগকারী কর্মকর্তা নেই। ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছয়গুণ বৃদ্ধি পেলেও শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড অচল থাকার কারণে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক
এখনও পেশাগত সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছেন।

Latest article