পুজোর আগেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের, আরও ১৬ লক্ষকে প্রথম কিস্তির টাকা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই নতুন উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : ডিসেম্বর মাসে আরও ১৬ লক্ষ প্রান্তিক মানুষকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই নতুন উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক আবেদনকারীকে ফের একবার যাচাই করার কাজ শুরু করেছে পঞ্চায়েত দফতর। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মোট ছটি ধাপে হবে এই যাচাই প্রক্রিয়া। ৩ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে নির্বাচিত উপভোক্তাদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকা টাঙানোর পর যদি কোনও আপত্তি ওঠে, তা সংশোধন করে গ্রামসভার মাধ্যমে পাশ করানো হবে। পরে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে জেলাস্তরের প্রকল্প কমিটি।

আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার থমকে গ্রিন লাইনের মেট্রো, বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা

সব প্রক্রিয়া শেষ করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। গতবছর ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন। চলতি বছরের মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। কেন্দ্র সরকার বাংলা আবাস যোজনায় নিজের অংশের অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর গ্রামীণ মানুষের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রেও যাচাই প্রক্রিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। নির্দেশ অনুযায়ী, যাচাই হওয়া বাড়িগুলির অন্তত ১৫ শতাংশ পুনরায় যাচাই করবেন বিডিওরা। এসডিও এবং জেলাস্তরের আধিকারিকরাও অন্তত ১৫ শতাংশ বাড়ি খতিয়ে দেখবেন। রাজ্যস্তরের নজরদারি দল ও থানার আইসি-ওসিরাও কিছু বাড়ি পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি সোশ্যাল অডিট টিম বাড়িগুলির কাজের মান পরীক্ষা করবে। প্রতিটি উপভোক্তার বর্তমান বাড়ি ও জমির জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিস্তৃত যাচাই ব্যবস্থা প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ রাখবে এবং প্রকৃত উপভোক্তাদের হাতে সময়মতো টাকা পৌঁছে দেবে।

Latest article