প্রতিবেদন : বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষণের সময় অসভ্যতা করে একবার রাজ্যে তথা দেশের নাম ডুবিয়ে ছিলেন, ফের চরম নিন্দনীয় কাজ করে জেলে গিয়ে বাঙালির নাম ডোবালেন ডাক্তার অমল বসু। বছর পঞ্চান্নর এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসককে মহিলা সহকর্মীদের লাগাতার যৌনহেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। দোষী সাব্যস্ত গুণধরকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটেনের আদালত। মহিলারা তাঁর কাছে তাজা মাংস— আদালতের শুনানিতে এমনই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহকর্মী নার্স।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষণের সময় চিৎকার করে অসভ্যতা করেছিলেন কিছু অতিবাম ও গেরুয়া সমর্থক। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অনাবাসী বাঙালি চিকিৎসকও ছিলেন। এই অমল বসু ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অভয়াকে নিয়ে লোক দেখানো সহনুভূতি দেখানো চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ! এমনকী, তাঁর মহিলা সহকর্মীদের অভিযোগ, তিনি নারীশরীরকে ‘তাজা মাংস’ ছাড়া আর কিছুই মনে করেন না।
আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নেই হবে দুর্গোৎসব, একাধিক নির্দেশিকা মুখ্যমন্ত্রীর
ল্যাঙ্কাশায়ার ব্ল্যাকপুল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে হৃদরোগ চিকিৎসার বিভাগীয় প্রধান অমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বারবার জুনিয়র কর্মীদের নির্যাতন করেছিলেন তিনি। ২০২৩-এ লাগাতার অভিযোগের পরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১০ জন অমলের যৌন হেনস্থার শিকার। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতির সময় এক নার্সের স্তন খামচে ধরেছিলেন তিনি। আরেক মহিলা সহকর্মীর অভিযোগ ছিল, পেন খোঁজার নাম করে অমল তাঁর পকেটে হাত ঢুকিয়ে স্তন খামচে ধরে সেটিকে ‘তাজা মাংস’ বলে বিকৃত মন্তব্য করেন।
প্রিস্টন ক্রাউন কোর্টে বিচারক ইয়ান আনসওয়ার্থ অমলকে ‘সাদা পোশাকের আড়ালে থাকা এক যৌন শিকারি’ বলে বর্ণনা করেন। বলেন উচ্চ পদমর্যাদা ব্যবহার করে সহকর্মীদের ‘টার্গেট’ করতেন অমল। কৃতকর্মের কোনও প্রকৃত অনুশোচনা দেখা যায়নি এই চিকিৎসকের মধ্যে। ফলে আদালত তাঁকে ৬ বছরের সাজা শোনায়।
একসময় অভয়ার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বইয়ে ছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকের মুখ থেকেই মুখোশ খসে পড়ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাস্তায় হেঁটেছেন। আর দেশের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে এইসব অমলেরা বিদেশের মাটিতে তাঁর সভা পণ্ড করতে গিয়েছিলেন। এখন এইসব ভেকধারী চিকিৎসকদের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসছে।