টাইগার শ্রফ আর সঞ্জয় দত্ত মানেই অ্যাকশনের ধামাকা হবেই। আর ছবির নাম যখন ‘বাগি ৪’ তখন সেই অ্যাকশনে একটা বন্য জংলি ব্যাপার থাকবে— এ তো বলাই বাহুল্য। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার প্রযোজনায় এই ছবি নিয়ে চর্চা-বিতর্ক দুই ছিল। ‘বাগি ৪’-এর (baaghi 4) সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে মালয়ালম থ্রিলার ‘মার্কো’র সঙ্গেও, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হিংস্র ভারতীয় ছবি হিসেবে ধরা হয়। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল প্রথম ‘বাগি’ যা বক্স অফিসে বড়সড় ঝড় তুলেছিল। এরপর ‘বাগি ২’ ও সাফল্য পায়। ‘বাগি ৩’ ততটা সফল না হলেও বেশ ভাল দর্শক টেনেছিল। এরপরেই চার বছরের বিরতি নিয়ে ‘বাগি ৪’ (baaghi 4) এল বড়পর্দায়। বাগি অর্থাৎ বিদ্রোহী যে পচগলা সিস্টেমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। আর ‘বাগি ৪’ অন্য ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর চেয়ে আলাদা। এখানে গোটা সিস্টেমকেই অবজ্ঞা করেছে নায়ক। ছবির কাহিনি চন্দারা নামক এক কাল্পনিক শহরে শুরু হয়। পাহাড় আর সমুদ্রে ঘেরা যেখানে নিয়মিত কার্নিভাল হয়— পাহাড় আর সমুদ্র। এই শহরের এক কোণে থাকে স্বঘোষিত এক শয়তান। এই চরিত্রে রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। বিশাল প্রাসাদে তার বাস। পোষা বাঘ রয়েছে শয়তানের। নায়ক রনির এক অতীত-রহস্য রয়েছে। গল্পের গরু গাছে চড়ার মতো করে এগলেও এই ছবি উন্মাদনার। কাল্পনিকতার। টাইগার শ্রফের ঝাঁজালো অ্যাকশন, মারকাটারি স্টান্টই ছবির মূল আকর্ষণ। খলনায়ক হিসেবে সঞ্জয় দত্ত অতি-নাটকীয় ঠিকই তবে উতরে গেছেন। এখানে কোনও প্রতিবাদ বা বিদ্রোহ নেই শুধুই অ্যাকশন আর অ্যাকশন। রক্ত ঝরবে, অসংখ্যবার হাড়গোড় ভাঙবে তাও সুপারম্যানের মতো নায়ক দাঁড়িয়ে থাকবে! এমন একটি চরম পরিস্থিতিতে আবার প্রেমেও পড়বে সে! প্রেমিকাকে বাঁচাতেও লড়াই চালাবে! যাঁরা অ্যাকশন ছবি পছন্দ করেন তাঁদের বেশ লাগবে ‘বাগি ৪’। ছবির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন টাইগার শ্রফ, সঞ্জয় দত্ত, সোনম বাজওয়া, হারনাজ সান্ধু, শ্রেয়াস তালপাদে প্রমুখ। ছবির পরিচালক এ হর্ষ।
কেমন হল বাগি ৪
মারকাটারি স্টান্ট, লড়াই, প্রতিশোধ, রোমান্স, নাচগান— সবমিলিয়ে এক দুর্দান্ত অ্যাকশন প্যাক বাণিজ্যিক ছবি ‘বাগি ৪’। পরিচালক এ হর্ষ। সমালোচকের ভূমিকায় নয় নিখাদ বিনোদনের পূর্তিতে দেখতে গেলে ছবিটা মন্দ লাগবে না। মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, টাইগার শ্রফ, হরনাজ সান্ধু। লিখলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী
