প্রতিবেদন : বিজেপি দল তৈরি করতে পারে না। তাই ওরা দল ভাঙানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তৃণমূল একজন কর্মীকেও নেতা হিসেবে তৈরি করার ক্ষমতা রাখে। শনিবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পঞ্চায়েতি রাজ্য শাখার সম্মেলন থেকে এমনটাই জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিনের রাজ্য সম্মেলনে শশী পাঁজার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রদীপ মজুমদার প্রমুখ। এদিনের সম্মেলন থেকে শশী পাঁজা বলেন, বিজেপি ভিন রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের যেভাবে হেনস্থা করছে তাতে ওরা ভেবেছিল আমরাও এখানে হিন্দিভাষীদের একইভাবে হেনস্থা করব বা ওদের প্ররোচনায় পা দেব। কিন্তু বাংলা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। আমাদের এখানে আমরা নানান জাতি-ধর্ম সকলকে একসঙ্গে নিয়ে থাকি। একই সঙ্গে পঞ্চায়েতের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে অসাধ্যসাধন করেছেন সে কথাও এদিন তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন-গানে-গানে প্রতুল-স্মরণ
অপরদিকে, মানস ভুঁইয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সব থেকে বেশি উন্নয়ন হয়েছে পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে। মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত এলাকার জন্য যে হারে টাকা বরাদ্দ করেছেন এবং উন্নয়ন করেছেন তাতে এভাবে চলতে থাকলে আমরা হাসতে হাসতে যেকোনও পঞ্চায়েত নির্বাচন জিতে যাব। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও নিজের তহবিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা তৈরি করেছেন, বাংলার বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন। এইসব দেখে ফেডারেশনের মানুষজনকে এগিয়ে আসতে হবে বাংলার মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর জন্য। খোঁজ রাখতে হবে পঞ্চায়েত এলাকার ঘরের মা-বোনেরা কেমন আছে। এমনকী ফেডারেশনের কেউ নিঃশব্দে পদ্ম শিবিরের রয়েছে কি না সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলে পরামর্শ দেন সেচ দফতরের মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-এই নাকি বন্ধুত্বের নমুনা! শুল্কের পর এইচ-ওয়ান বি ভিসাতেও কোপ
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, যে সমস্ত বড় বড় রাজ্যে বা গোটা দেশে ডিক্টেটারশিপ রয়েছে, সেখানে কখনই সাধারণ মানুষের মতামত নিতে দেখা যায় না। কিন্তু এই রাজ্যে সেই অসাধ্যকেও সাধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ ঠিক করছেন, তার এলাকার সমস্যা কীভাবে সমাধান করা হবে। ছোট ছোট সমস্যার কথা তারা তুলে ধরছেন। এখানে কোনও সাংসদ, বিধায়ক, নেতা-মন্ত্রীর কথা চলবে না। একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন মুখ্যমন্ত্রী।