শারদোৎসবের প্রাক্কালে ঐতিহ্য আর কূটনীতির মেলবন্ধন বাংলাদেশের জামদানি প্রদর্শনী

নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ক্র্যাফ্টস মিউজিয়ামে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত প্রথম জামদানি প্রদর্শনীটি বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যবাহী।

Must read

নয়াদিল্লি: এক অনন্য উদ্যোগ। নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ক্র্যাফ্টস মিউজিয়ামে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে প্রথমবার উদ্বোধন করা হয়েছে জামদানি প্রদর্শনী। এই আয়োজন ভারতীয় দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছে বাংলাদেশের সুবিখ্যাত বুননের নিপুণ কারুকার্যের এক ঝলক, যা একইসঙ্গে ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংযোগ স্থাপনের এক নতুন দৃষ্টান্ত।

আরও পড়ুন-জেলার উন্নয়নে ১০ কোটি ২৫ তারিখের মধ্যেই ঢুকবে কিস্তির টাকা

নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ক্র্যাফ্টস মিউজিয়ামে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত প্রথম জামদানি প্রদর্শনীটি বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যবাহী। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী বা অনুষ্ঠান নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে এক নতুন ধরনের ‘শাড়ি কূটনীতি’-র উদাহরণ। উৎসবের মরশুমে বাংলার জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজোর ঠিক আগে জামদানির বর্ণচ্ছটা ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন উষ্ণতার বার্তা নিয়ে এসেছে। এই প্রদর্শনীতে ১৫০ বছরের পুরনো দুটি বিরল জামদানি শাড়ি প্রদর্শন করা হয়েছে, যা দর্শকদের বিমোহিত করেছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ এবং প্রখ্যাত ভারতীয় ডিজাইনার চন্দ্রশেখর ভেদার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে, ইউনেস্কোর মাধ্যমে জামদানি সৃজনশৈলী কীভাবে স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে উঠে এসেছে। প্রখ্যাত ভারতীয় কারু ও বস্ত্র পুনরুজ্জীবনকারী চন্দ্রশেখর ভেদার তত্ত্বাবধানে এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের কারিগরদের বয়ন করা কিছু সেরা জামদানির প্রদর্শন হচ্ছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৫০ বছরের পুরনো দুটি বিরল শাড়ি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেদা বলেন, জামদানি যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা যায় না। এর স্বচ্ছতা ও সূক্ষ্মতা এমন, যেন বাতাসে ভাসা এক জাদুকরি বুনন। প্রদর্শনীটি জামদানি সৃষ্টি সম্পর্কে একটি ধারণাগত গভীরতা যোগ করেছে। এখানে বাংলাদেশের কারুশিল্প পুনরুজ্জীবনের পথিকৃৎ এবং আড়ং-এর প্রাক্তন ডিজাইন লিডার চন্দ্রশেখর সাহা কাপড়ের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, একসময় বাংলার মসলিন ছিল বিশ্বসেরা। জামদানি সেই একই মর্যাদায় আসীন। এটি এমন একটি শিল্প, যা আপনাকে বুঝতে হলে দেখার পাশাপাশি অনুভব করতে হবে। আশা করি, এর ঐতিহ্য পরম্পরাগতভাবে টিকে থাকবে।

Latest article