মহালয়ার পুণ্যলগ্নে বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার শিক্ষা-সমাজ-অর্থনীতি সব নিয়ে কুৎসা করেও যখন বাংলাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি তারা, তখন বাঙালিদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চোরাকল বানিয়েছে।

Must read

বাংলা গোটা দেশকে পথ দেখায়, এবার সেই বাংলার অস্মিতায় আঘাত কেন্দ্রের এনডিএ (NDA) জোটের। বাংলার শিক্ষা-সমাজ-অর্থনীতি সব নিয়ে কুৎসা করেও যখন বাংলাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি তারা, তখন বাঙালিদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চোরাকল বানিয়েছে। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে দেবীপক্ষের প্রারম্ভে সেই বাংলা-বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলার শ্রমিকদের রক্ষা করতে যে বাংলার সরকারই সক্ষম, দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলার ঐতিহ্য সকলকে সমান সম্মান, মহালয়ার দিন সেই কথা স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সব মানুষকে সম্মান, শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। আমরা যদি সব ভাষাকে সম্মান করতে পারি, তবে আমার মাতৃভাষাকে অসম্মান করার অধিকার কারো নেই।

আরও পড়ুন-মার্কিন ভিসা নীতিতে মানুষের পাশে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের স্বভাব ইতিহাসের, ঐতিহ্যের অসম্মান। সেই কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনেন গান্ধীজির প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার জন্ম দেয় বাংলা। নবজাগরণের জন্ম দেয় বাংলা। গান্ধীজি গুজরাটে জন্মালেও তিনি পড়ে থাকেন বাংলায়। গান্ধীজি আজ তোমাদের নেতা নেই। গান্ধীজিকে পায়ের তলায় ফেলে দিয়েছে।

বাংলার মানুষকে প্রকাশ্যে অসম্মান করে যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি, তার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান বাংলরা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুন নিজের গায়েও লাগে। দেশটা একবার ভাগ হয়ে গেলে আর ঐক্যবদ্ধ করা যাবে না। কাজেই এটা যেন ভাঙার খেলা না হয়, গড়ার খেলা হয়। আমাদের এখানে যে এক কোটি শ্রমিক কাজ করে তাদের কারো গায়ে যাতে হাত না পড়ে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। তাহলে আমাদের শ্রমিকদের মারবে কেন।

আরও পড়ুন-প্রকাশিত মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর গানের অ্যালবাম দুর্গা অঙ্গন

তবে বাংলার শ্রমিকদের দায়িত্ব যে বাংলার তৃণমূল সরকার নিতে সক্ষম, তা স্পষ্ট করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলার শ্রমিকদের প্রতিভার জন্য তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার শ্রমিক ফিরে এসেছে। তার মধ্যে ১০ হাজার শ্রমিককে পাটের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাটশিল্পে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ দেব। এবং তাদের স্কিল প্রশিক্ষণ দিয়ে দেওয়া হবে। তারা ব্যবসা করতে চাইলে ঋণ দেওয়া হবে।

Latest article