অভিষেকের দাপটে ফের পাক বধ

পাকিস্তান ১৭১-৫ (২০ ওভার) ভারত ১৭৪-৪ (১৮.৫ ওভার)

Must read

দুবাই, ২১ সেপ্টেম্বর: এশিয়া কাপের (Asia cup) গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সুপার ফোরে ভারত দাপটেই ৬ উইকেটে জিতল। তবে সলমন আলি আঘারা লড়াই করলেন। ভারত জিতল সাত বল হাতে রেখে। ভারতের সামনে ১৭২ রানের লক্ষ্যও দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু টি-২০তে এই ভারতীয় দলের ব্যাটিং গত এক বছরে যে দাপট দেখিয়েছে, সেটাই বজায় থাকল রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমন গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ (Asia cup) ফাইনালের পথে এগোল সূর্যকুমার যাদবের দল। তবে চিন্তায় থাকল ফিল্ডিং।
শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন অভিষেক। দুই ভারতীয় ওপেনার ঝড়ের গতিতে রান তোলেন। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিষেক। শুরুর পাওয়ার প্লে-তেই বিনা উইকেটে অভিষেক ও শুভমনের জুটি তুলে ফেলে ৬৯ রান। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাওয়ার-প্লে’তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। বিতর্কের আবহে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ শুরু হয়। সেখানেও ‘করমর্দন নীতি’ বজায় রেখে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবরা। অভিষেকদের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সময় টুকরো টুকরো কথার লড়াইও চলে। অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৯ ওভারে ১০০ রান তুলে নেয় ভারত। মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন অভিষেক। যা ভারত-পাক টি-২০তে দ্বিতীয় দ্রুততম। মরুশহরের গরমে পায়ে ক্র্যাম্প ধরে শুভমনের। ক্লান্ত শুভমন ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। ১০৫ রানে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন। অধিনায়ক সূর্য এদিন ব্যর্থ। হ্যারিস রউফের বলে কোনও রান না করেই আউট হন। পরপর দুটো উইকেট হারালেও সেখান থেকে সহজ উইকেটে জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। এরপর ৩৪ বলে ৭৪ রান করে অভিষেক আউট হলেও ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান তিনি। শেষ দিকে সঞ্জু স্যামসনের ‘দুঃস্বপ্নের’ ব্যাটিং ভারতের উপর চাপ বাড়ালেও তিলক ভার্মা (৩০ অপরাজিত) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭ অপরাজিত) বাকি কাজটা অনায়াসেই সেরে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।

আরও পড়ুন-মহালয়ার পুণ্যলগ্নে বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

গ্রুপ পর্বে ভারতের একতরফা দাপটের মতো শুরু অবশ্য এদিন হয়নি। বরং ম্যাচ শুরুর আগে সাজঘরে মোটিভেশনাল স্পিকারের ক্লাসে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমেছিলেন শাহিবজাদা ফারহানরা।
শিশিরের আশঙ্কা থাকায় টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। দুই পাক ওপেনার ফখর ও ফারহানের আগ্রাসী ব্যাটিং বুঝিয়ে দিচ্ছিল, করমর্দন বিতর্ক এবং গ্রুপ পর্বে হারের জবাবটা মাঠেই দিতে চাইছে পাক বাহিনী। ফারহানদের কাজটা সহজ করে দিচ্ছিল ভারতীয়দের খারাপ ফিল্ডিং।
প্রথম ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফারহানের সহজ ক্যাচ ফেলেন অভিষেক শর্মা। আরও একটি ক্যাচ ফেলেন তিনি। ক্যাচ ফসকান কুলদীপও। তার আগেই তৃতীয় ওভারে ফখরকে (৯ বলে ১৫) আউট করে ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন হার্দিক। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান ফারহান। তাঁর সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাইম আয়ুব। ১০ ওভারেই ৯২ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। এরপরই কুলদীপ, বরুণের ঘূর্ণি ও শিবম দুবের আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাকিস্তানের রান তোলার গতি কমে যায়। উইকেটও পড়ে। সহজ ক্যাচ ফেলে কঠিন ক্যাচ ধরেন অভিষেক। হুসেন তালাতকে ফেরান কুলদীপ। এরপর বিপজ্জনক ফারহানকে (৪৫ বলে ৫৮) আউট করেন শিবম। তবে ডেথ ওভারে ভারতীয় বোলারদের পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন পাক ব্যাটাররা। শেষ ৯ বলের মধ্যে ৮ বল খেলেন ফহিম আশরাফ। তাতেই একটি চার ও জোড়া ছক্কায় দলের স্কোর পৌঁছে দেন ১৭১-এ। মহম্মদ নওয়াজ (২১), অধিনায়ক সলমন আঘা (১৭ অপরাজিত) অবদান রাখেন। শেষ ওভারে ফহিমের ক্যাচ ফেলেন শুভমন। এদিনের ফিল্ডিং চিন্তা বাড়াবে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এদিন হতাশ করেন বুমরা। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। শিবমের ঝুলিতে ২ উইকেট।

Latest article