প্রতিবেদন : জিএসটি ২৮ থেকে ১৮ হয়েছে। বিজেপি যদি ২০০ হত, তাহলে জিএসটি ৯ হত, আর বিজেপি যেদিন শূন্য হবে সেদিন জিএসটিও শূন্য হবে। মানুষ বিচক্ষণ তাঁরা সব বিচার করবেন। এই ভাষাতে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারকে তীব্র আক্রমণ করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ তারিখ থেকে নতুন হারে জিএসটি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো দামে কিনতে হচ্ছে। অভিষেক বলেন, নোটবন্দির সময় তো একই জিনিস হয়েছে। এদের আর কোনও কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। বিজেপি যেসব সিদ্ধান্ত নেয়, তার কোনও অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই। বিজেপি-র এনআরসির ক্ষেত্রে একই জিনিস— আবার নোটবন্দিতেও একই। বিজেপি কৃষি আইনের কথা বলেছিল৷ তারও কোনও অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই। এত বড় বড় কথা। অপারেশন সিঁদুর-এর সময় বলেছিল ব্লাড অ্যান্ড ওয়াটার ক্যান নট ফ্লো টুগেদার, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত ক্রিকেট ম্যাচ খেলবে কেন? আপনি পিওকে-টাকে আগে আমাদের দখলে আনুন। আমাদের নেত্রী কিন্তু আগেই বলে দিয়েছেন রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্রের পাশে আছি। তাঁরা যা করবে আমরা সমর্থন করব। কিন্তু বিজেপির দ্বিচারিতা বারবার প্রমাণিত। নোটবন্দি করে ১৪০ জন লোক নোটবদলের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গেল, এর দায় কার? সিএএ-র জন্য আমার এলাকার ফলতায় একজন আত্মহত্যা করল। আমি তাঁর বাড়ি গেছিলাম। এ দায় কার? আমি জিএসটি ঘোষণা করলাম, কিন্তু তার কোনও বাস্তবায়ন নেই, কারণ, অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই।
আরও পড়ুন-পিএম কেয়ারের ৫০ হাজার কোটি কোথায়? মোদি সরকারের বিরাট দুর্নীতি ফাঁস করে প্রশ্ন তৃণমূলের
এরা ক্ষমতায় আছে, কিন্তু এদের কোনও অ্যাকাউন্টিবিলিটি নেই। পাওয়ার উইদাউট অ্যাকাউন্টেবিলিটি। এদের তো জবাব দিতে হবে। আমাদের রাজ্যে সরকার গত ১৪ বছরে কী কাজ করেছে তার হিসেব আছে। আমি এমপি হিসেবে কী কাজ করেছি ধরে ধরে তার হিসেব দিতে পারি। এটা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে না কেন? অভিষেক বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারা বলুন, গত ১০ বছরে আপনারা ডাইরেক্ট আর ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স মিলিয়ে বাংলা থেকে কত টাকা নিয়ে গিয়েছেন, আর কত টাকা বাংলাকে দিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী এসে বলেছিলেন, আবাসে দিয়েছি, একশো দিনে টাকা দিয়েছি, আমরা পাল্টা বলেছিলাম শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, পেরেছে করতে? জিএসটি কারা করেছিল? এ কেমন জিএসটি? জিরের ওপর জিএসটি ১৮ শতাংশ আর হিরের ওপর জিএসটি ৩ শতাংশ! বাচ্চাদের দুধ, সেখানে জিএসটি, বিস্কুট সেখানেও জিএসটি, গায়ে মাখার তেল থেকে রান্নার তেল, জামা, জুতো, খাতা, পেন— সবেতেই জিএসটি। এখন বাধ্য হয়ে জিএসটি কমাচ্ছে। এই হার আরও কমবে। এদের যদি ইচ্ছে থাকত তাহলে আরও আগে কমত। কিন্তু তখন ওরা ভেবেছিল ধর্মে- ধর্মে বিভেদ তৈরি করে ভোটে জিতবে। কিন্তু হচ্ছে না দেখে এখন বাধ্য হয়ে জিএসটি কমাচ্ছে। অযোধ্যায় এত বড় করে মন্দির বানাল, সেখানেও হেরেছে।