নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের উদাসীনতায় পাটশিল্পের (jute industry) ক্রমাগত অবক্ষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্য আইএনটিটিইউসি সভাপতি এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় তুললেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে চাইছে মোদি সরকার। আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল সাংসদের কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্র। অদ্ভুত নীরবতা! ঋতব্রত যুক্তি এবং পরিসংখ্যান দিয়ে বৈঠকে তুলে ধরেন, পাটচাষিদের আদৌ পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে না মোদি সরকার। অর্থনৈতিক সুরক্ষা তো দূরের কথা। কাঁচাপাটের মূল্যের অস্থিরতা কীভাবে পাটশিল্পে চরম সংকট ডেকে আনছে তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলাবাজারে পাটের দাম কুইন্টাল প্রতি ৯০০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অথচ মজুতের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় খুবই কম। মাত্র ৪.৭৮ লক্ষ বেল। গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও একটি সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গের স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকায় এই সংকট আরও জটিল আকার নিয়েছে। উৎসাহিত করছে পাটের মূল্যবৃদ্ধি। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পাট সংগ্রহের ক্ষেত্রে অসঙ্গতির দিকটি তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, বেশিরভাগ কৃষকই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম মূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্পের (jute industry) কীভাবে চরম ক্ষতি ডেকে আনছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তিনি। এরজন্য কেন্দ্রের অবাস্তব মূল্যনীতি, বাজারের অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন ঋতব্রত।
আরও পড়ুন-২৫ সেপ্টেম্বর শুরু রাজ্যের ‘নির্মল দুর্গাপুজো’ অভিযান