সোমবার রাত থেকে টানা ৫ ঘণ্টার অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা শহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ কোথাও ২৫০ মিলিমিটার কোথাও আবার গড়ে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। জেট পাম্প, সাকশন মেশিন নামিয়ে জল নামানোর কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকালেই পুরসভার (KMC) কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি জানিয়েছেন, “এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে জানা ছিল না। তবে পুরসভা কাজ করছে। যা পরিস্থিতি তাতে ১০ ঘণ্টা মতো সময় লাগবে। আর বৃষ্টি না বলে আজ রাতের মধ্যে জল নেমে যাবে।”
আরও পড়ুন-ইন্দোরে বাড়ি ভেঙে মৃত ২,আহত ১২
দ্বিতীয়াতে বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত নাগরিক জীবন। সেপ্টেম্বরের এত বৃষ্টি গত চার দশকে হয়নি বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি আলিপুরে রেকর্ড হয়েছে। কোথাও বাড়িতে জল ঢুকেছে কোথাও আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ইতিমধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা সাত। জলঢাকা কলকাতা পুরসভা। গঙ্গার লক গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত, রাস্তায় বাস-ট্যাক্সি বিকল, দেখা মিলছে না অ্যাপ ক্যাবেরও। কেউ লরিতে আবার কেউ ‘ছোট হাতি’ ভাড়া করে কর্মস্থলে পৌঁছছেন। ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রায় দশগুণ বেশি। ব্লু লাইনে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত প্রায় কুড়ি মিনিট অন্তর মেট্রো চলছে। নাকাল শহরবাসী। সকাল সাড়ে দশটার পর বেশ কিছু জায়গায় ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ার খবর মিলেছে। এই অবস্থায় মেয়রের পরামর্শ, যদি খুব প্রয়োজন না থাকে তাহলে আজ বাড়ি থেকে না বেরোনোই ভালো। পাশাপাশি যাঁরা কাজে বেরোচ্ছেন তাঁদের সতর্ক থাকার অনুরোধও করেছেন ফিরহাদ।