লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় দুর্গার আরাধনা

শুরু থেকে পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহিলারাই। প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা, ভোগ রান্না, অতিথি আপ্যায়ন সবই হচ্ছে নারীর হাত ধরে।

Must read

আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত ঝাড়আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবারের দুর্গাপুজো এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রায় ৩০০ জন মহিলা একজোট হয়ে আয়োজন করছেন মহামায়া সর্বজনীন মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। এ বছর ১৩ বছরে পা দিল এই আয়োজন, তবে এবারের বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। গ্রামের মহিলারা তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে পাওয়া জমানো টাকা দিয়ে পুজোর খরচ মেটাচ্ছেন। শুরু থেকে পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহিলারাই। প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা, ভোগ রান্না, অতিথি আপ্যায়ন সবই হচ্ছে নারীর হাত ধরে।

আরও পড়ুন-বিদেশি নীতি নিয়ে প্রতিবাদ বাগানের

পুজো উদ্যোক্তারা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করেছে। আর সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই এসেছে এই উদ্যোগ। পুজোর থিমেও থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের ছবি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য যেন উৎসবের আবহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মাঠ জুড়ে কাশফুল, আকাশে তুলোর মতো মেঘ আর পুকুরে ভাসছে পদ্মফুল, এ যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা বিশাল আলপনা। সারা বাংলার থিম পুজোর ভিড়ে এই মহিলা পরিচালিত পুজো এক ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে নারীশক্তিই সমাজের আসল দিশারী। ঝাড়আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনাবালা রায় বলেন, আমরা গর্বিত, কারণ মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর জমানো টাকায় আমাদের গ্রামের মহিলারাই দুর্গাপুজো আয়োজন করছে। মা দুর্গা যেমন নারীশক্তির প্রতীক, তেমনই এই পুজোও নারীশক্তির দৃষ্টান্ত। পুজো উদ্যোক্তা অঞ্জলি রায় বলেন,আমাদের কাছে এই পূজো শুধুই ধর্মীয় আয়োজন নয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের সুফলকে সামনে তুলে ধরার সুযোগও বটে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যে শুধু পরিবারের অর্থনৈতিক ভরসা নয়, মহিলাদের আত্মবিশ্বাস ও সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার শক্তি জুগিয়েছে ঝাড়আলতার এই মহামায়া পুজো তারই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।

Latest article